প্রবাস মেলা ডেস্ক: গত দুই দিনে ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ভাসতে থাকা একাধিক নৌযান থেকে ৪৩৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ওশন ভাইকিং নামের একটি উদ্ধারকারী জাহাজ। জাহাজটির মালিক এসওএস মেডিটেরেনি নামের একটি ফ্রান্সভিত্তিক এনজিও শনিবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
বৃহস্পতি-শুক্রবার লিবিয়া ও তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে এই অভিবানসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসওএস মেডেটেরেনি।
বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘গত বৃহস্পতিবার আমরা ভূমধ্যসাগরের মাঝামাঝি এলাকায় ভাসতে থাকা ৩টি নৌকা থেকে ২৭২ জনকে উদ্ধার করে। উদ্ধার এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ম্যেধ ৩২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক, ৯ জন শিশু এবং ৫ জন শারীরিকভাবে পঙ্গু।’
ভূমধ্যসগারের ইতালি-তিউনিসিয়ার জলসীমায় অনুসন্ধান তৎপরতা চালানোর সময় ইতালির কোস্টগার্ড বাহিনী সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে এসওএস মেডিটেরেনি।
উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়াকে ইউরোপ থেকে পৃথক করেছে ভূমধ্যসাগর। এই সাগরের একদিকে ইতালি,গ্রিস এবং অন্যদিকে লিবিয়া, তিউনিসিয়া এবং তুরস্ক।
তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে সাগরপথে মাত্র ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপ। লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে সাগরপথে রওনা হওয়া অধিকাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লক্ষ্য থাকে কোনোভাবে এই দ্বীপটিতে পৌঁছানো।
এসওএস মেডেটেরেনি জানিয়েছে, এই ৪৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে মোট ২৩টি দেশের নাগরিক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাদের ইতালির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভূমধ্যসাগরের এই সাগরপথ খুবই বিপদসঙ্কুল, কিন্তু তারপরও এই পথেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন অন্তত ২ হাজার ১৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী।
সূত্র: এএফপি।