প্রবাস মেলা ডেস্ক: ২৮ অক্টোবর কী হবে? কিংবা তারপর? দেশ কি আবারও কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে? দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি সমাবেশ ঘিরে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে জনমনে। বিএনপি’র দোষারোপের তীর আওয়ামী লীগের দিকেই। আর ক্ষমতাসীন দলও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, যে কোনো পরিস্থিতি মাঠেই মোকাবেলা করার। দুই দলের এমন আচরণের মধ্যে সাধারণ মানুষের চাওয়া একটাই, তা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।
আদৌ কি কোনো অস্থীতিশীল পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ? এ প্রশ্নের বিপরীতমুখী জবাব প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের।
এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গণমাধ্যমকে বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছে সভা করতে দেবে না। বলে, একবার গরুর হাটে পাঠানো হয়েছিল। এবার কোন হাটে পাঠাই দেখেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার এমন কথা বলছে, সাধারণ মানুষের ভেতর টেশন তৈরি হচ্ছে। পুরো জাতি ২৮ তারিখ নিয়ে টেশনে আছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। সেখানে সরকারের উসকানিমূলক বক্তব্যেই বোঝা যায়, তারা সহিংসতার আশ্রয় নিতে পারে।
তার দাবি, ইতোমধ্যেই সরকার গ্রেফতার অভিযান শুরু করে দিয়েছে। যদি টেনশন হয়, তো সেতা সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণেই হচ্ছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে জানান, গণমানুষকে সাথে নিয়েই আওয়ামী লীগ সবসময় রাজনীতি করেছে। অতএব গণমানুষের শান্তির জন্য পাহারায় রয়েছি। কোনো আতঙ্কের কারণ নেই।
নানক বলেন, সংঘাতের রাজনীতি করে বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। আর যে কোনো দুর্ঘটনার দায় ক্ষমতাসীনদের ওপরই বর্তাবে বলে জানালেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।
বরাবরের মতো বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বললেও রাজধানীজুড়ে সতর্ক থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।