প্রবাস মেলা ডেস্ক: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটের চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণের প্রেক্ষাপটে সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় মোট ১৬৪ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রুসহ মোট ১৭১ জন আরোহী নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সঠিক সময়ে কক্সবাজারের আকাশে পৌঁছানোর পর ল্যান্ডিং করার পূর্ব মুহূর্তে নোজ ল্যান্ডিং গিয়ার নামছিলো না দেখে পাইলট ইন কমান্ড ক্যাপ্টেন জাকারিয়া সবুজ ও ফার্স্ট অফিসার সাঈদ বিন রউফ নিরাপদ ল্যান্ডিং করার জন্য জরুরী অবতরণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন। কিন্তু কক্সবাজার বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরন করেন। এ ঘটনায় এয়ারক্রাফটেরও উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রতিটি এয়ারক্রাফট নিখুঁতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ইউরোপীয়, কানাডিয়ান ও আমেরিকান সহ ১৭জন বিদেশী প্রকৌশলী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে কোন এয়ারলাইন্সে মেইনটেন্যান্সের ক্ষেত্রে এত অধিক সংখ্যক বিদেশী প্রকৌশলী নেই বলেও জানান। এছাড়া ইউএস-বাংলায় বিদেশীদের পাশাপাশি ৬২ জন দেশীয় অভিজ্ঞ প্রকৌশলী কাজ করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ‘ফ্লাই ফাস্ট- ফ্লাই সেইফ’ স্লোগান নিয়ে ২টি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে মোট ৫০,০০০ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।