আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালির স্থানীয় একটি পত্রিকা কুরিয়ারে দেল্লা সেরার (corriere della Sera ) বরাত দিয়ে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে যে, ইতালিতে ২০২১ সালের মার্চ মাসে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে । দাম পড়বে প্রতিজনে মাত্র বাংলাদেশি টাকায় দুইশত টাকা। অর্থাৎ ইতালির মুদ্রায় মাত্র ২ ইউরো। এই ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য কোন মন্ত্রী মিনিস্টার এর বিশেষ সুপারিশের প্রয়োজন হবে না, উচ্চ লেভেলের কারো টেলিফোন লাগবে না । নাগরিক অধিকার সূত্রে এই ভ্যাকসিন সবাই নিতে পারবে বলে পত্রিকাটির তথ্য সূত্রে জানানো হয়েছে।
এই ভ্যাকসিন প্রথম নেয়ার ২৮ দিনের ব্যবধানে ডাবল ডোজ নিতে হবে। এটা নিঃসন্দেহে ইতালির জনগণের জন্য খুবি শুভ সুসংবাদ। এই খবরটি প্রচার হওয়ার পরে সবার মুখে মুখে একটি আলোচনা, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় অচিরেই করোনা ভাইরাস ইতালিসহ পুরো বিশ্ব থেকে বিদায় নিবে। কেউ কেউ মনে করেন মানবজাতির জয় হবে সব সময়ের মতো।
পত্রিকাটির তথ্যসূত্রে আরও জানা গেছে, একটি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা আস্ট্রাজেনেকা অনেক আগে থেকেই এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী ভ্যাকসিনটি ‘পরের বছরের অর্থাৎ ২০২১ সালের প্রথম কয়েক মাস শেষে বিতরণের পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে পারে।
আরও জানা গেছে যে, অ্যাস্ট্রাজেনিকার অনকোলজি গবেষণা ও বিকাশের পরিচালক জোসেপ বাসেলগা কাতালান রেডিও র্যাক ১ এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে এটির বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এছাড়াও বাসেলগা অনুসারে, গবেষণা কেন্দ্রটি মনে করে ‘তিন বিলিয়ন ভ্যাকসিনের ওষুধ কার্যকর হবে বলে তাঁরা নিশ্চিত যে, এন্টি কোভিড ভ্যাকসিনের উন্নত বন্টন ২০২১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকেই হতে পারে বলে ধারণা করছেন। তবে তারা এটি কাজ করবে কিনা, তা জানার জন্য আর অপেক্ষা করতে চাচ্ছে না। বছরের শুরুতেই তিন বিলিয়ন ডোজ হবে বলে নিশ্চিত করেছেন। কাতালান চিকিৎসক ব্যাখ্যা করলেন, এই ভ্যাকসিনটি ব্যয়মূল্যে বিক্রি করা হবে, প্রায় দুই ইউরো এবং দু’টি ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োজন হবে।
গবেষণা সংস্থাটি মনে করে তারা শুধুমাত্র পৃথক কোন দেশ বা ইউরোপে নয়, সারা বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন বিতরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণকে সুস্থ করবার জন্য তাদের এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার। যেহেতু করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হতে হতে, সারা ইউরোপ জুড়ে শীতের প্রকোপ বাড়ছে, সাথে সাথে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। গবেষণা সংস্থাটি মনে করে, তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে যে ভ্যাকসিনটি যেন আগামী বছরের মার্চ নাগাদ সবার হাতে পৌঁছে দিতে পারে।