প্রবাস মেলা ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্জেই সইগু কিছু আহত সৈন্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। ২৫ মে ২০২২, বুধবার তিনি মস্কোর কেন্দ্রীয় হাসপাতালে আহত সৈন্যদের খোঁজখবর নেন এবং মৃতদের পরিবার যেন ক্ষতিপূরণ পায়, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বুধবার (২৫ মে) জানিয়েছেন, পুতিনের সময়সূচিতে এবার আহত সৈনিকদের দেখতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। তিনি এবার ব্যক্তিগতভাবে রুশ কর্মকর্তাদের সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়টি তদারক করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরবরাহ করা ছবিতে দেখা যায়, পুতিন সাদা ওভারকোট পরে মেডিকেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। রুশ গণমাধ্যমের দাবি, এ সময় অনেক সৈন্য পুনরায় লড়াই করতে যেতে চান বলে পুতিনের কাছে জানিয়েছেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় পাকস্থলীতে আঘাত পাওয়া এক সৈনিক পুতিনকে যুদ্ধে তার ইউনিটে ফেরত যাওয়ার কথা বললে তিনি তাকে আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, এমনটা যেন ঘটে, সে চেষ্টা তিনি করবেন। পরে পুতিন স্টেট কাউন্সিলে একটি সভায় যোগ দেন এবং সীমান্ত পার করা সৈন্যদের বেতনভাতা বৃদ্ধির কথা বলেন। শুধু আহত সৈন্যদেরই নয়, তাদের পরিবারকেও এ সাহায্য দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন পুতিন।
আরেক আহত সৈন্যকে পুতিন বলেন, ‘তোমার বাবা নিশ্চয়ই তোমার ওপর গর্বিত হবেন।’
এদিকে ইউক্রেনের দেসনা শহরে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় একক বিমান হামলায় ৮৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) এ হামলা চালানো হয় বলে জানান তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এবারই একসঙ্গে এত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
হামলার দিন রাশিয়ার এক সামরিক মুখপাত্র বলেন, ‘চেরনিহিভ অঞ্চলের দেসনা শহরের কাছে ইউক্রেনের সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে আমাদের সফল ও দূরপাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।’
হতাহতের খবর জানালেও হামলায় নিহতরা সামরিক নাকি বেসামরিক ব্যক্তি, তা উল্লেখ করেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে দেসনা শহরের কাছে একটি সামরিক ব্যারাক এবং প্রশিক্ষণ ঘাঁটি রয়েছে বলে নিশ্চিত করে তিনি।
এর আগে মার্চের মাঝামাঝি ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনে ৩০০-র মতো বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। সে সময় সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান হামলা বাড়ালেও ইউক্রেনের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে মস্কো।