প্রবাস মেলা ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে গাজা উপত্যকার উপকণ্ঠে ঢুকে পড়া ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে প্রবেশ করা ইসরাইলি সেনারা সব গুটিয়ে নিয়ে গাজা ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
বিমান হামলার পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে গাজায় বহুল আলোচিত স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। প্রথমে সীমিত পরিসরে শুরু করলেও রোববার শত শত ট্যাংক ও সাজোঁয়া যান নিয়ে সর্বাত্মক অভিযান চালায় তারা। কিন্তু শুরুতেই হামাসের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেনারা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের মতো গাজায় প্রবেশ করা ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সোমবারও (৩০ অক্টোবর) হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে ইসরাইলি সেনারা ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে গাজা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজায় হামাসের সরকারি অফিসের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরাইলি ট্যাংকগুলো গাজার সীমান্ত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গাজা শহরের মধ্যবর্তী সালাহ আল-দিন সড়কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় হামাসের হামলার মুখে পড়ে। পরে ওই এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের তুমুল লড়াই হয়।
গাজায় হামাসের সরকারি অফিসের প্রধান কর্মকর্তা সালামা মারুফ বলেন, ইসরাইলি ট্যাংক গাজা শহরের উপকণ্ঠ থেকে পিছু হটেছে। গাজা উপত্যকার আবাসিক এলাকাগুলোতে ইসরাইলি বাহিনীর কোনো স্থল অভিযান নেই। সালাহ আল-দিন সড়কে কেবল দখলদার সেনাবাহিনীর কয়েকটি ট্যাংক ও একটি বুলডোজারের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল।
তবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করছে ইসরাইল। বিমান থেকে প্রতি মিনিটে ফেলা হচ্ছে ছয়টি বোমা। বিবিসির সাংবাদিক জেরেমি বোয়েনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এই হামলার জবাবে সেদিন থেকে গাজায় অবিরাম বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। তিন সপ্তাহ পরও সেই হামলা অব্যাহত রয়েছে।
এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে। আর আহত হয়েছেন অন্তত ২০ হাজার।