ধীরে ধীরে জনাগমনে বনভোজন পরিণত হয় মিলনমেলায়। খেলাধুলা আর আড্ডায় হ্যাকশেয়ার পার্কের ফিল্ড ২- এর সন্নিকটের প্যাভিলিয়ন পরিপূর্ণ হয়ে সবুজ বৃক্ষের ছায়াতল পরিণত হয় এক খন্ড হবিগন্জে, বেলা যত বাড়ছে আমন্ত্রিত অথিতি সংখ্যা বাড়ছে, একে একে উপস্থিত হয়ে বনভোজন ও মিলনমেলা রূপনেয় প্রাণবন্ত উৎসবে। প্রতি বছরের ন্যায় বনভোজনের আয়োজন করা হলেও এ বছর প্রবাসী হবিগঞ্জবাসীর আগ্রহ বাড়ে এডভোকেট আবু জাহির-এমপির আগমনের খবর শুনে।
ছেলে মেয়ের দৌড়, ফুটবল খেলা, মহিলাদের পিলো শেষ করে দুপুরের খাবারের পরই সদস্য সচিব সাব্বির হোসেনের কন্ঠে ভেসে আসে আমন্ত্রিত অথিতিদের অভিবাধন বক্তব্য।
সভাপতি শফি উদ্দীন তালুকদারকে সভাপতির আসন গ্রহন করার আহ্বানের মাধ্যমে সাধারন সম্পাদক মো: রেজাউল আজাদ ভূঁইয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির আসন গ্রহন করেন- হবিগঞ্জ- লাখাই থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য- আলোকিত হবিগন্জের রূপকার – এডভোকেট আবু জাহির এমপি।এর পরই আসন গ্রহন করেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, গেস্ট অব অনার ওয়েল কেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমদের আসন গ্রহনের পর বিশেষ অথিতির আসন গ্রহন করেন জালালাবাদ এশোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হেসেন খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, হবিগন্জে জেলা বার এশোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সালেহ আহমদ, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোবাশ্বির চৌধুরী,দেওয়ান বজলুর রহমান চৌধুরী,ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এড. নাসির উদ্দীন, প্রধান সমন্বয়কারী ও সাবেক সভাপতি সৈয়দ কামাল উদ্দীন আহমদ, মিশিগান থেকে আগত মোস্তফা কামাল, রমিজ উদ্দীন খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দীন খান, সাবেক সভাপতি সৈয়দ নজমুল হাসান কোবাদ, দেওয়ান সাহেদ চৌধুরী, নিউজার্সি হবিগন্জ জেলা সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম মজুমদার, তাজুল ইসলাম সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হোসেন।
সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন সবাইকে স্বাগত জানিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচী ঘোষনা করার পর বিভিন্ন বয়সের ছেলে- মেয়ের দৌড়, মহিলাদের পিলো খেলা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান, তারপরই সাদা ও নীল দলের ফুটবল প্রতিযোগিতা ছিল অভাবনীয় আকর্ষণ।
মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যনীয় সংগঠনের নেত্রীবৃন্দের পরিবার ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন মিসেস আবু জাহির এমপি, উনার সহোদর মিসেস জামির আহমেদ, মহিলানেত্রী নাজনীন হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা মিসেস সামছুন্নার, মিসেস আজমল হোসেন কুনু, মিসেস দেলোয়ার, সংগঠনের সাবিক সভাপতি মরহুম নজরুল চৌধুরীর পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত হলে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
আলোচনা সভাশেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অথিতি ও বিশেষ অথিতি বৃন্দ, সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ প্রধান অথিতি, গেষ্ট অব অনার ও বিশেষ অথিতিদের হাতে তুলে দেন ক্রেষ্ট ও উপহার ।
প্রধান অথিতির হাতে হবিগঞ্জ জেলা কল্যান সমিতির বিশেষ প্রকল্প কন্যাদান প্রকল্পের সন্চয়ী ব্যাংক তুলে দেন প্রকল্পের উদ্যোক্তা সৈয়দ নজমুল হাসান কোবাদ এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি আজদু মিয়া তালুকদার।