হাকিকুল ইসলাম থোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: :বাংলাদেশে সড়ক-হত্যায় যুক্ত খুনি ড্রাইভারদের দ্রুত বিচার করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে। সচেতন নাগরিক সমাজ আয়োজিত সমাবেশটি ৩১ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। সড়কে এসব মৃতের মিছিলকে হত্যাকান্ড হিসেবে বিচার করার দাবি জানান বক্তারা।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহ জাহান খানের পদত্যাগ দাবি করা এই সমাবেশের সভাপত্বি করেন প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। সাংবাদিক ও নাট্যকার তোফাজ্জল লিটনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মুজাহিদ আনসারি, সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, মিথুন আহমেদ এবং গোপাল স্যান্ন্যাল।
সভার সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পরিবহন ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে যে অরাজকতা এবং দুর্নীতি চলছে তা সরকারকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেনো গাড়ি চালাতে না পাওে এবং ফিটনেস ছাড়া যেনো কোনো গাড়ি রাস্তায় না নামতে পাওে সে ই ব্যাপােেও সরকারকে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে।
কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মুজাহিদ আনসারি বলেন, জনগনের করের টাকায় বেতনভুক্ত পুলিশ বাহীনি কোনো সময় এই সরকারের পক্ষে থাকবে পারবে না। তারা যে সরকার আসবে সেই সরকারের কাজ করবে তাই বর্তমান সরকারকে ভাবতে হবে সেই পুলিশকে দিয়ে এই সকল কোমলমতি শিশু-কিশোরদের রক্তাক্ত করা ঠিক হচ্ছে কী না ? এসকল প্রতিবাদী সন্তানরা শহীদ সালাম বরকত এবং জব্বারের উত্তরসূরী। তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে বঙ্গবন্ধু’র থেকে। তাদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত না করে এ সবল হত্যার দ্রুত বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশের গণজাগরন মঞ্চের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি বলেন, সড়কে বাসগুলো ব্যপক প্রতিযোগীতার কারনেই এসব হত্যার হার বেড়ে চলেছে। সড়ক ব্যাবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে। এর কারন তারা মুনাফার লোভে কোনো আইন কানুন তোয়াক্কা করছে না। আবার যে সকল দুর্ঘটনা ঘটছে তার বিচার হচ্ছে না।
সম্মিলিত সংস্কৃতি জোট উত্তর আমেরিকার আহ্বায়ক মিথুন আহমেদ বলেন, যে সবল হত্যাকান্ড হয়েছে সরকার একটি ট্রান্সকম গঠন করে তার বিচার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)।