প্রবাস মেলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের সঙ্গে সম্প্রতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রেজেন্টার ও ‘প্রবাস মেলা’ পত্রিকার উপদেষ্টা মামুন ইমতিয়াজ। এ সময় তিনি মহাপরিচালকের হাতে পত্রিকাটির একটি সৌজন্য কপি তুলে দেন।
পত্রিকাটি হাতে পেয়ে ডা. আবু জাফর বলেন, ‘প্রবাস মেলা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে কিভাবে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে, তা প্রতিনিয়ত তুলে ধরছে প্রবাস মেলা। প্রবাসীরা দেশের অমূল্য সম্পদ। আমি প্রবাস মেলা পত্রিকার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’
অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর ‘সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ’র শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে এমসিপিএস (জেনারেল সার্জারি), ১৯৯৯ সালে এফসিপিএস (জেনারেল সার্জারি) এবং ২০২০ সালে এমএস (শিশু সার্জারি) ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেও দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি পরবর্তী পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ১৫ ও ১৭ বিসিএসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি হলেও ১৩তম বিসিএসভুক্ত একজন যোগ্য চিকিৎসক হয়েও তিঁনি এই সুযোগ পাননি।
এছাড়া ২০০০ সাল থেকে টানা ৮ বছর তাকে ঢাকার বাইরে কর্মস্থলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে যোগ দেন। শিশুসার্জারি ও জেনারেল সার্জারিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও তিনি বৈষম্যের শিকার হন।
জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক সংগঠন ড্যাবের সদস্য হলেও চিকিৎসক মহলে ডা. আবু জাফর একজন দক্ষ প্রশাসক ও একাডেমিশিয়ান হিসেবে পরিচিত। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে তার নিয়োগ চিকিৎসক সমাজে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। চিকিৎসকদের বিভিন্ন ফোরামে ইতোমধ্যে তার দক্ষতা ও সততা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা শুরু হয়েছে এবং সরকারকেও এ সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ জানানো হয়েছে।
চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট মহল অধ্যাপক ডা. আবু জাফর এর কাছে সততা-ন্যায়ভিত্তিক ও দূর্নীতিমুক্ত স্বাস্থ্য বিভাগ গড়ে তোলার প্রত্যাশা কামনা করেন।