কবির আল মাহমুদ, মাদ্রিদ, স্পেন: ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, আর এই আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে স্পেনের মাদ্রিদে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসী আয়োজন করেছিলেন ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের বাংলাদেশিদের কেন্দ্রস্থল লাভাপিয়েসের রাজপূতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে ঈদ পরবর্তী এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
স্পেনে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক নারায়ণগঞ্জ প্রবাসী বাংলাদেশি এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জের প্রবীন মুরব্বী আবু বক্কর সিদ্দিক মামুন। পুরো আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি এম এইচ সোহেল ভূঁইয়া ও হোসেন মুকুল।
এছাড়াও তরিক হাসান প্রধান, আরিফ রহমান, গাজী কামরুজজামান মাসুম, সাজিদ মাওলা, মিনহাজুল ইসলাম মুসার সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। অনুষ্ঠানে আলোক কুঞ্জের ব্যানারে হানিফ মিয়াজী, সোহেল রানা, হোসাইন ইকবাল, আল আমীন ও আবিদুর রহমান জসিমের একাধিক গান পরিবেশন উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রায় দুইশত প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদ পুনর্মিলনী ও নৈশভোজে অংশ নেয়। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় লাভাপিয়েসের রাজপূত রেস্টুরেন্ট।

সাংবাদিক এস এম আসলাম এর উপস্থাপনায় মনোমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিটি নেতা গোলাম মাওলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সানাউল্লাহ শানু, গোলজার সরওয়ার টিটু, আজহার খান, আকবর শেঠ, নাদির জুনায়েত, খসরু হাসান। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর, নূর হোসেন পাটোয়ারী, রাজনীতিবিদ মোজাম্মেল হোসেন মনু, ঢাকা জেলা সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুদ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল সামাদ, গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি লুৎফুর রহমান, উপদেষ্টা আব্দুল মুত্তাকীন মুজাক্কির, নাজু ইসলাম,ব্যাবসায়ী শাহ আলমসহ বাঙালি কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ফলে ঈদ পুনর্মিলনীটি পরিণত হয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসীর মো. আমীর হোসেন,শরীফ হাসান প্রধান, মোঃ সুমন, মো. আফজাল, মোঃ শিবলু, মোঃ জাহাঙ্গীর, মোঃ আতিক, মাহ্দী হাসান, চুনু মিয়া, সম্রাট প্রধান, মোঃ লিটন, শান্ত, শীতল, সুমন চিশতী, শান্ত ও রুবেল মাহমুদের অক্লান্ত শ্রম ও চেষ্টায় এ আয়োজন সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। পরিবার-পরিজন ছাড়া প্রবাসে ঈদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। তাই বেদনা ভরা মন প্রতিনিয়তই কিছু না কিছুতে আক্ষেপ ঘোচানোর চেষ্টা করে। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানগুলো প্রবাসীদের কিছুটা আনন্দের উপলক্ষ করে দেয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এতে মেতে উঠেন অনাবিল আনন্দে।
প্রবাসের ফানসে ঈদে এ ধরনের আয়োজন সবাইকে একত্রিত করে আনন্দ, হাসি, আড্ডার সুযোগ করে দেয়। আয়োজক সোহেল ভূইয়া জানান, ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে এবং সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে প্রবাসে সবাই যেন মিলেমিশে থাকতে পারে, সে জন্যই তারা এই মিলনমেলার আয়োজন করেছেন।