হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি। ৮ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার সংগঠনের দফতর উপ-কমিটির সদস্য প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি’র চেয়ারম্যান মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এ্যাড. সাইফুল ইসলাম সেকুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন বলেন, দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ না দিলে যে কোন অপরাধের যত বড়ই শাস্তি প্রদান করার ঘোষণা করা হোক না কেন তা সমাজে কোনভাবেই প্রভাব পড়ে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা।
কিছুদিন আগে ধর্ষণ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেও ধর্ষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক প্রতিরোধ ও পরিবারিক শাসন। স্কুলছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার না থাকার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশে যদি মানবাধিকার, ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্রের চর্চা সর্বত্র থাকতো তাহলে যেকোন অপরাধি তাদের অপরাধ করার আগে চিন্তা করতো। আমরা বাস্তবে দেখতে পাই অপরাধি যদি অর্থ বিত্ত রাজনৈতিক শেল্টারে তখন আইনের ফাক ফোকর দিয়ে সে গ্রেফতার হলেও বের হয়ে যায়। আর অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অপরাধ না করেও সাধারণ মানুষ অর্থ বিত্তশালীদের রোশানলের শিকার হয়ে বিভিন্ন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে বছরের পর বছর কারাগারে অবস্থান করে।
এখান থেকে বের হতে হলে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, সামাজিক প্রতিরোধ গণতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। ইতিমধ্যেই রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত তানভীর ইফতেফার দিহান (১৮) দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে যেন কোন ভাবেই আইনের ফাক-ফোকর দিয়ে বের হতে না পারে। তার পেছনে যদি কেউ মদতদাতা থাকে তাকেও খুজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
জাতি ২০২১ সালে নতুন আর কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা দেখতে চায় না। আর এ জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।