ক. ম. জামাল উদ্দীন, জেদ্দা, সৌদি আরব প্রতিনিধি: সৌদি আরবে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি নিয়ত বৃদ্ধি হচ্ছে।মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে ২৪ ঘন্টায় আজ সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড । গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রুগী নতুন ভাবে শনাক্ত হয়েছে ১৯১২ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯০৪৮ । সুস্থ হয়েছেন ১৩১৩ জন মোট সুস্থের সংখ্যা ১১৪৫৭ জন,। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৪৬ জন।
সূত্র : সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আক্রান্ত অঞ্চল গুলোর মধ্যে মক্কা মুকাররমায় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে- ৪৩৮ জন। এ ছাড়া দেশটির কয়েকটি বড় অঞ্চলের আক্রান্তের সংখ্যা তুলে ধরা হল। দেশটির বন্দর নগরী জেদ্দায়- ৩৭৪ জন, রাজধানী রিয়াদে ৩৬৩ জন।মদিনা মুনাওয়ারায়- ২৪৮ জন। দাম্মামে ১০৪ জন, হুফুপে ৭২ জন, ক্বনফুদায় ৫২ জন। হাদ্দায় ৪০ জন, জুবাইলে ৩০ জন, তাইপ এ ২৮ জন।
এদিকে দেশটিতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মক্কা ও ২৪ ঘন্টা লকডাউনকৃত এলাকা গুলো ছাড়া কারিফউ তুলে নেওয়া এবং শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ায় করোনা ঝুঁকিতেও প্রায় প্রবাসীদের তাদের কর্ম স্থলে দেখা গেছে। জেদ্দার কয়েকটি শপিং মলের সমাহার হারেস সাওয়ারিখে কয়েক প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ঝুঁকি এবং দেশের প্রশাসনিক কড়াকড়ির মধ্যেও কাজে তাদের যোগদানের প্রধান দুই কারণ হল। প্রথমত: এই কিছুদিন চাকুরি করে কিছু আয় রোজগার করতে পারলে অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিজের কিছু জীবিকা নির্বাহের খরচা পাতির ব্যবস্থা হবে। বিশ্ব মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়িতে নিজের পরিবার-পরিজন তথা মা-বাবা, সন্তান-সন্ততির কিছু টাকা পাঠাতে পারলে তাদের হাসি ফুটাতে পারব। দ্বিতীয়ত: অবস্থা স্বাভাবিক হলে বিদেশ বিভুইয়ে নিজের কর্মস্থলতো ঠিক রাখতে হবে তাই অনেক ঝুঁকি নিয়ে হলেও কাজে যোগ দেওয়া যাতে নিজের কর্মস্থল ভবিষ্যতেও হাত ছাড়া না হয় ।
গত ডিসেম্বরের একেবারে শেষদিকে চীনের উহানে এই ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি শনাক্ত হয়। বর্তমানে বিশ্বের ২০০ টির বেশী দেশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ জানা যায় যে, গত ২৫ দিনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ১৫ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ছুঁয়েছিল। এই হিসাবে দিনে গড়ে রোগী শনাক্ত হচ্ছে ৮০ হাজার করে। গত ৩ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছায়। এরপরের ১২ দিনেই তা ২০ লাখ পেরিয়ে যায়। আর সর্বশেষ ২৫ দিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হলো। আজ সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৫২৭ জন।