প্রবাস মেলা ডেস্ক: যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরব আয়োজিত শান্তি সম্মেলনের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। দেশটি বলেছে, জেদ্দায় অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলন সফল হয়েছে। এর ফলাফলে তারা সন্তুষ্ট। খবর এএফপির।
৫ আগস্ট ২০২৩, শনিবার জেদ্দায় শুরু হয় দুদিনব্যাপী শান্তি সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতসহ অন্তত ৪০টি দেশ আলোচনায় অংশ নেয়। তবে আমন্ত্রণ না জানানোয় এতে রাশিয়ার কোনো প্রতিনিধি অংশ নেননি।
দুদিন ব্যাপী এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধে নানা প্রস্তাব রাখে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। বিশেষ করে বন্দি বিনিময়, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন এবং কিয়েভকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হন নেতারা। আর তাই রুশ প্রতিনিধি না থাকলেও সম্মেলনকে সফল ও কার্যকর আখ্যা দেয়া হচ্ছে।
যুদ্ধ বন্ধে এই আলোচনাকে সফল বলে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভও। সোমবার (৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রিয়ে ইয়ারমাক বলেন, ‘আমরা সম্মেলনের ফলাফলে খুবই সন্তুষ্ট। সৌদি আরবের সম্মেলনটি এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য একটি মহড়া যেখানে (রাশিয়ার) বর্বর আগ্রাসনের কোন স্থান নেই।’
ইয়ারমাক বলেন, এই সম্মেলনের মধ্যদিয়ে পরবর্তী বৈঠকের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সামনের সেই সম্মেলনে আরও বেশি দেশ অংশ নেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়েল উপপ্রধান ইগর জোভকভা বলেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সবাই ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তার কথায়, ‘চীন আপত্তি করেনি যে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিত।’
এ বিষয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত সফল এই সম্মেলন। রাশিয়া যখন একের পর এক আইন লঙ্ঘন করছে তখন তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে আন্তর্জাতিক শক্তি। যেসব সহায়তার আশ্বাস আমরা পেয়েছি তাতে রুশবিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ আরও গতি পাবে।
সম্মেলন বিষয়ে মার্কিন সামরিক বিশ্লেষক জেনারেল (অব:) মার্ক হার্টলিং বলেন, যদিও রাশিয়া এই সম্মেলনে অংশ নেয়নি, তবুও আমি বলব জেদ্দা সামিট সফল। কারণ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির যা প্রয়োজন তিনি তাই পেয়েছেন। বিশেষ করে মানবিক সহায়তার বিষয়টি। আটকে পড়াদের সরিয়ে নেয়া, শিশুদের উদ্ধার, উদ্বাস্তদের পুনর্বাসনের মতো ইস্যুগুলোতে ইউক্রেনকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে দেশগুলো।
এদিকে রাশিয়ার কোনো প্রতিনিধি ছাড়াই জেদ্দা সম্মেলন আয়োজনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়াকে ছাড়াই সিদ্ধান্ত গ্রহণকে অযৌক্তিক আখ্যা দেয় ক্রেমলিন।