শ্রী সদ্যোজাত
কোলকাতা, ভারত
তুমি তো পরিযায়ী মুখের আকাশগঙ্গা নও,
তুমি তো ছটা ঋতুর অধিক মুখের ঋতুপর্ণা,
তোমার অবয়বে সেতুপথে কেবল স্বস্তিকের আনাগোনা,
রজনীগন্ধার মালা তোমায় মানায় ভারি,
নির্জলা উপবাসের ঘরে, তুমিই যে স্বস্তিকা,
বন্ধ চোখে আলোয় আলোয় আলোকছটা,
তোমারই ঈশান বুক থেকে অন্তহীন গন্ধহীন
যাত্রাপথের সূচনা,
শুধু তুমিই জানো না, তুমিই মানো না,
যাবার আগে শুধু ঠিকানাটাই যা বলে গেলে না,
যদি পারো ওখানে একটা সূর্যমুখীর চারা লাগিও,
তোমার হাতের ছোঁয়ায় সে যেন রাতেও ঝিমিয়ে না পড়ে,
আমি জানি তোমার সাবলীলতা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত,
আমার কাজ শুধু মুহূর্তকাল আক্ষেপগুলো কে তোমার সকাল বিকেল বারান্দায় ঘেঁষতে না দেওয়া,
তুমি চিন্তা করোনা, ব্যস্ত শরীর হোয়ো..না,
রাখালিয়া সুরে স্বরলিপিতে রঙের মেলা বসেনা যে
সে তোমায় ছেড়ে কোত্থাও যাবেনা,
প্রতি বিকেল শেষে এক চিলতে গোধূলি দিয়ে,
সে তোমার দরদি মনের জলছবি আঁকে যে,
কিছু নক্ষত্র দল বেঁধেছে তোমার বাড়ির ওপরে, সংকল্পের ওই আকাশটা তে,
তোমার বাগানের সনির্বন্ধ সূর্যমুখী হবে বলে,
শুধু তুমিই জানো না, তুমিই মানো না..