সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সীতাকুন্ডে প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের চা চক্র ও নৌকা জয়ের অঙ্গিকার। সীতাকুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ খাঁন কর্তৃক আয়োজিত চা চক্র ও নৌকা জয়ের অঙ্গিকার শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ ইউসুফ খাঁনের সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় সীতাকুন্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, শিক্ষকনেতা ও সীতাকুন্ড উপজেলা স্কাউট কমিশনার জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। প্রধান বক্তা ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক, তারুন্যের অহংকার জালাল আহমেদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন সীতাকুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাখ্খারুল আলম চৌধুরী, সীতাকুন্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক হাসান মানিক, সীতাকুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু দুলাল দে, সীতাকুন্ড পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ.জে. এম. হোসেন লিটন, সীতাকুন্ড পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, আতাউল হাকিম আরিফ, সীতাকুন্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতা জয়নাল আবেদীন, মাস্টার আবুল কাশেম বিএসসি, আবুল হোসেন বাবুল, জাহিদ হোসেন সোহেল, কামরুল ইসলাম, আজিম উদ্দীন আরজু, জাহাঙ্গীর আলম, ইন্জিঃ মামুনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্ধ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, সীতাকুন্ডের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, আমরা আদর্শের রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছি। আমাদেরকেই হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।
প্রধান বক্তা জালাল আহমেদ বলেন, ইচ্ছা থাকলেও সীতাকুন্ডের ত্যাগী ছাত্রনেতাদের মূল্যায়নে কোন ভূমিকা রাখতে আমরা সক্ষম হয়নি। যদিও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই এখনো অবিরাম। হতাশা – ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকবে তাই বলে পিছু হটলে চলবে না।
সভাপতির সমাপনী বক্তৃতায় মোহাম্মদ ইউসুফ খাঁন বলেন, শুধুমাত্র নৌকা বিজয়ের লক্ষ্যে সৌদীআরব থেকে এসেছি নিজ কর্তব্য ও দায়িত্ববোধ থেকে। সীতাকুন্ডে এসে সাবেক ছাত্রনেতাদের অবহেলা – লাঞ্চনা – বঞ্চনা ও সর্বোপরী অধিকার ও সুবিধাবঞ্চিতে করুন দশা শুনে দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারিনি বলে আজ চা চক্রের আয়োজন, নৌকা বিজয়ে করনীয় ও আগামী দিনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়নে সাবেক ছাত্রনেতাদের একটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবী। সে লক্ষ্যে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে কাজ করবে প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং গড়ে তুলবে শক্তিশালী প্লাটফর্ম যে প্লাটফর্মে ফিরিয়ে আনবে সীতাকুন্ডের অষম রাজনীতি।
সকল বক্তাগণ এক বাক্যে আগামী দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত আদর্শিক পথকে দুষ্টগ্রহ থেকে উদ্ধার করে সঠিক রাজনৈতিক কাঠামোতে রূপান্তরে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামীর পথচলাকে কন্টকমুক্ত করতে প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।