হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার সন্ধ্যা ৮টায় নিউইয়র্ক এর এস্টোরিয়া হ্যালো বাংলাদেশ রেষ্টুরেন্টে সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদ নিউইয়র্ক এর উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি ডা. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাকসু’র সাবেক জিএস এবং বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মোস্তাক হোসেন। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন।
বক্তব্য রাখেন- সর্বজনাব এডভোকেট মুজিবুর রহমান, মোল্লা মনিরুজ্জান, লিগ্যাল কনসালটেন্ড এডভোকেট মুজিবুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, মুজাহিদ আনসারী, প্রোগ্রেসিভ ফোরামের জাকির হোসেন বাচ্ছু ও আলীম উদ্দিন,মোশাররফ খান, এমএস আলম, মোহাম্মদ সোহায়েল, আব্দুর রহিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
জুলাই-আগষ্টের ছাত্র গনঅভ্যুত্থানে সহস্রাধিক শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, বিগত সরকারের কার্যকলাপে আন্তর্জাতিকভাবে সবাই ছিল অত্যন্ত বিরক্ত, বন্ধুহীন হয়ে পড়েছিল। দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির কারণে গরীব মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে ছিল। সীমাহীন ঘুষ, দুর্নিতী, শেয়ার বাজার ও ব্যাংকগুলো লোপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনী, ছাত্রলীগ সহ দলীয় হাইব্রিড লোকের দৌরাত্ম্য ছিল সর্বত্র। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে মানুষ পরিবর্তনের প্রত্যাশী ছিল। কিন্তু এই সুযোগে স্বাধীনতা বিরোধী পুরনো শকুনরাও শক্তি সঞ্চার করে আঘাত হানার চেষ্টা করছে।
স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ আত্মাত্যাগের বিনিময়ে এই ছাত্র গনঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। অতীতে মানুষ রাজপথে রক্ত দিয়ে কাংখিত লক্ষ্যে অর্জন করতে পারেনি। সুতরাং এবারের রক্তদান কোন অবস্থাই বৃথা যেতে দেব না। বারবার মানুষ রক্ত দেয় শুধু ব্যক্তি বা দলের পরিবর্তনের জন্য নয়। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রায়ন ও শোষন-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য। তা করতে হলে সংবিধানের সকল স্বৈরতান্ত্রিক কলা-কানুন ও রাষ্টীয় সকল নিপীড়ন যন্ত্র বাতিল করতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের মধ্যে দিয়েই শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
গত আন্দোলনে গনহত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিতে হবে। নিহত ও আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বপরি গনঅভ্যুত্থানের বিজয় যাতে হাতছাড়া না হয় সেজন্য প্রবাসে অবস্থানরত বাম প্রগতিশীলদের বৃহৎ শক্তি হিসেবে একমঞ্চে সোচ্চার থাকার আহবান জানান। সভা শেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।