সম্প্রতি সমিতির সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাউজানে তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এসময় সমিতির সহ-সভাপতি মোরশেদুল আলম, অর্থ সম্পাদক নাসির মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পারভেজ মোহাম্মদ আমানুল্লাহ চৌধুরী বাবলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কার্যকরী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান সিআইপি উপস্থিত ছিলেন।
সিএজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের ফতেহ আলী চৌধুরী বাড়ির নুরুল আলম চৌধুরী ও খালেদা বেগমের বড় ছেলে। ১৫ জুলাই মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে পাঁচ বছরের জন্য সিএজি (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ১৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে তিনি শপথ নেন। এর আগে তিনি অর্থ সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর মতো যোগ্য ব্যক্তিকে সিএজির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমিতির নেতারা বলেন, সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কার্যক্রমে তিনি দীর্ঘদিন যুক্ত রয়েছেন। আর্থিক সংস্কারে তার উদ্ভাবনী চিন্তা এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
এসময় সিএজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রের আর্থিক হিসাব-নিরীক্ষার যে গুরু দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করবো। যে বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আশা করি সকলের সহযোগিতায় তা রাখতে সক্ষম হবো।’
১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন মুসলিম চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে অ্যাকাউন্টিং-এ অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টিং-এ ডিস্টিংশনসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য মুসলিম চৌধুরী ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন পদক পান।