ফারুক হিমেল, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া: দৈশিক মন্ডলে শুধু নয়, বৈশ্বিক আবহে বাঙালি ও বৈশাখী মেলা একই সূত্র বর্ণময় আমেজে গাঁথা। বাঙালি তার নিজস্ব জাতিসত্তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যতগুলো উৎসব পালন করে এর মধ্য বর্ষবরণ অন্যতম।
বৈশাখ বরণের সঙ্গে যে অনুষ্ঠানটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তা হলো আমাদের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা।এ মেলা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও হয়, যেখানে রয়েছে প্রচুরসংখ্যক বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। তেমনি একটি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া । এখানেই প্রায় ষোল হাজার বাংলাদেশিদের বসবাস। রয়েছেন ই পি এস কর্মী, ব্যবসায়ী , ছাত্র, নানান পেশার জনবল।বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের তত্ত্বাবধানে বৃহৎ পরিমন্ডলে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে সিউল সিটি হলের অষ্টম তলায়।
কোরিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্ণিল রঙে-ঢঙে সাজবেন। উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেন। ১৪২৬ বাংলা বর্ষকে বরণ করে নেবেন। প্রতি বছরের মতো সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের এই আয়োজনে শিকড়সন্ধানী প্রবাসী বাঙালিরা দেশের সুরে মেতে উঠবেন।বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব পয়লা বৈশাখে।
পয়লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল রবিবার দেশটিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় ব্যাপক লোকের সমাগম হবে। অনুষ্ঠানে দর্শকদেরকে আনন্দ দিতে বাংলাদেশ থেকে আসছেন শিল্পকলা একাডেমির একঝাঁক তারক শিল্পী।প্রবাস জীবনে ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে আসা মানুষগুলো মেতে উঠবেন আড্ডা-খুনসুটিতে। প্রবাসী বাংলাদেশি, কোরিয়ানও বিদেশী অতিথিদের জন্য থাকবে ইলিশ, পান্তা ভাত, আলু ভর্তা, বেগুনভর্তাসহ নানা আইটেম। প্রবাসীরা খাবারের স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি উপভোগ করেবেন বর্ণিল, ছন্দময় দেশীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।