শিবব্রত গুহ, কোলকাতা, ভারত থেকে: আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, সবেতেই সেরা। এই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যবাসীর খুবই আপনার জন। তিনি হলেন সবার প্রিয় দিদি। সারা রাজ্যের হাল ফিরে গেছে তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের গুণে। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আগেও, এখনো দিয়ে চলেছেন। মা-মাটি-মানুষের সরকার হল রাজ্যবাসীর প্রিয় সরকার। যে সরকার, রাজ্যের আপামর মানুষের সুখে, দুখে, বিপদে, আপদে তাদের পাশে থাকে।
রাজ্যের মানুষ কি করে ভালো থাকবে? কিসে তাদের সবার উন্নতি হবে? তার জন্য নিরলস দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের মানুষের ভালোর জন্য কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী সহ একঝাঁক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। যার সুফল ভালোভাবে পেয়ে চলেছে সারা রাজ্যবাসী। জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে পাহাড়, পাহাড় থেকে সাগর, সব জায়গায় উন্নয়নের জোয়ার বয়ে চলেছে। দিদির চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা প্রকল্প হল স্বাস্থ্যসাথী।
এই প্রকল্পের কোন তুলনাই হয় না। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দারুণ ঘোষণা করেছেন। তাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছেন। এই রাজ্যের প্রতিটি পরিবার, এখন থেকে, একটা করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবে। তাতে পরিবারের সবার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। পরিবার পিছু বছরে মোট ৫ লাখ টাকা করে নিখরচায় চিকিৎসা করানো যাবে। সরকারী হাসপাতাল সহ মোট ১৫০০ হাসপাতালে, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাওয়া যাবে। এমনকি ভেলোরে ও এইমাসেও চিকিৎসা করানো যাবে। যা সত্যিই অভাবনীয় ব্যাপার সারা রাজ্যবাসীর জন্য!
গত ২০২০ সালের ১ লা ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ – এই ক্যাম্পে রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির কাজ জোরকদমে চলছে সারা রাজ্য জুড়ে। অনেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও ইতিমধ্যে হাতে পেয়ে গিয়েছেন। এর আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পেতেন প্রধানত সরকারী কর্মচারী, বিশেষ কিছু জনজাতি, জনগোষ্ঠী, পিছিয়ে পড়া মানুষেরা। কিন্তু এখন থেকে এই সুবিধা পাবেন রাজ্যের দশ কোটি মানুষ। সংখ্যাটা মোটেই কম নয়। দশ কোটি! যা সত্যি এক আনন্দ সংবাদ সারা রাজ্যবাসীর জন্য।
এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে তিনি রাজ্যের মানুষকে সুস্থভাবে আনন্দের সাথে বাঁচার সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এনিয়ে রাজ্যের বিরোধীরা নানা কথা বললেও, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা- মাটি-মানুষের সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তিতে কোন আঁচড় কাটতে পারেনি। সবদিক বিচার-বিবেচনা করে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, সারা পশ্চিমবঙ্গবাসীর রক্ষাকবচ হল স্বাস্থ্যসাথী।