প্রবাস মেলা ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তন, ভুল নগরায়ন, পরিকল্পনার অভাব ও সময়মতো পদক্ষেপ না নেয়ায় রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এমনটাই মত জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডেঙ্গু এখন মহামারি। বিনামূল্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পরামর্শ তাদের।
৯ আগস্ট ২০২৩, বুধবার পর্যন্ত ৯ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০। হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২৪ হাজার। সরকারি এই হিসাবের চেয়েও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ১০ গুণ বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আরও ঝুঁকিতে থাকবে দেশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডেঙ্গু বিস্তারের বিষয়টি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অভিঘাতে পরিণত হয়েছে। এমনিতেই নগর পরিকল্পনায় আছে ত্রুটি। তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হচ্ছে অতি তাপমাত্রা ও অনিয়মিত বৃষ্টি। আবার বৃষ্টির কারণে দেখা যাচ্ছে জলাবদ্ধতা। ডেঙ্গু আক্রান্ত দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের চিত্রও এমন।
জলবায়ু ও পরিবেশ বিশ্লেষক এম জাকির হোসেন খান জানান, বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় প্রমাণিত, বৈশ্বিক তাপমাত্রা, তাপ প্রবাহ, বন্যা ইত্যাদি বৃদ্ধির পাশাপাশি ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা বাড়বে আগামী দিনগুলোতে। যেখানেই তাপমাত্রা-জলাবদ্ধতা বাড়বে, সেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়তে থাকবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডেঙ্গু এখন মহামারি পর্যায়ে চলে গেছে। পরীক্ষা বিনামূল্যে ও নগরায়ণকে স্বাস্থ্যসম্মত করার পরামর্শ তাদের। আক্রান্ত সবাই সরকারিভাবে চিহ্নিত না হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যাও জানা যাচ্ছে না বলে তাদের মত। যারা ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছেন, ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ফলাফল আসছে পজিটিভ। কিন্তু অধিকাংশই আছে পরীক্ষার বাইরে। সেই হিসাবে ভয়াবহ অবস্থায় পৌছেছে ডেঙ্গু, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।