প্রবাস মেলা ডেস্ক: সম্প্রতি কক্সবাজারে ‘ছায়াবাজ’ ছবির শুটিংয়ে করতে গিয়ে হোটেলে কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে শুটিংকালীন বাড়তি চারঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন জায়েদ খান- এমন অভিযোগ তুলেছেন ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম।
জায়েদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে এই প্রযোজক বলেন, জায়েদ ও সায়ন্তিকাকে ড্রেস পরিবর্তন ও মধ্যাহ্নভোজের জন্য এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। আর নায়ক-নায়িকা ৪ ঘণ্টা পরে শুটিং স্পটে আসে। হোটেল রুমে চারঘণ্টা তারা কী করছিলেন?
প্রযোজকের এমন অভিযোগে ক্ষিপ্ত জায়েদ। উল্টো এই প্রযোজককে অপেশাদার বলেও মন্তব্য করেন এই নায়ক। জায়েদ বললেন, প্রযোজক সায়ন্তিকাকে তার পেমেন্ট দিচ্ছিল না। তিনি সামনে আসছিলেন না। সায়ন্তিকা বলেছিল, টাকা না পাঠালে শুটিংয়ে আসবে না। প্রযোজক এটা জানতে পেরে টাকা পাঠাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়। সেই টাকা হাতে পেয়ে সায়ন্তিকা শুটিংয়ে আসে। এজন্য দেরি হয়েছে। প্রযোজক প্রচুর মিথ্যে কথা বলছেন। তাকে ভাই মনে করলেও তিনি সেই মর্যাদা দেয়নি।
জায়েদ বলেন, প্রথমদিনে সায়ন্তিকা শুটিং না করে চলে যেতে চাচ্ছিল। কারণ প্রযোজকের সঙ্গে সায়ন্তিকার যেসব কথা হয়েছিল সেগুলো সে পাচ্ছিল না।
“কী কথা হয়েছিল আমি জানি না, কারণ আমি চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলাম না। তবে সায়ন্তিকা বলেছে প্রযোজক সহায়তা করেনি। বারবার আমাকে বলছিল, তোমাদের প্রযোজক এমন কেন? এই একজনের জন্য আমাদের দেশের প্রযোজকদের প্রতি তার বাজে ধারণা হলো। কিন্তু আমি তাকে বুঝিয়ে রেখেছিলাম, চেয়েছিলাম কাজ শেষ হোক। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম এই প্রযোজক নাটক সিনেমা আগে যাই করেছে কয়েকদিন কাজ করে বন্ধ করে দিয়েছে। নৃত্যপরিচালকের সঙ্গে যে কথা উঠছে সায়ন্তিকা বলেছে এটা বড় ইস্যু না। আমি সায়ন্তিকার সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যা হলো প্রযোজকে।”
জায়েদ খান বলেন, প্রযোজক হিসেবে তার মধ্যে পেশাদারিত্ব দেখিনি। লাঞ্চের আগে এবং ডিনারের আগে যে নাস্তা দেওয়া হয় সেটা আমি আর নায়িকা কোনোদিন খাইনি। যদি বলতে পারে খেয়েছি তাহলে আমি ফিল্ম ছেড়ে দেব। উনি একজন শিল্পীকে বিদেশ থেকে এনেছেন কিন্তু কোনোদিন জিজ্ঞেস করেনি তার খাওয়া দাওয়ায় কোনো অসুবিধে হচ্ছে কিনা। একজন বাইরের শিল্পীকে এনে এতটুকু আন্তরিকতা প্রযোজক দেখাতো পারতো না?
নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানিয়ে জায়েদ বলেন, কোনো সিনেমা করতে গিয়ে দেখিনি নাস্তায় ছোট এক প্যাকেট বিস্কুট এবং দুইটা কলা দেয়। ১৫ বছরে ৩৫টি সিনেমা করেছি কোনোদিন দেখিনি শিল্পীদের নাস্তা এমন হয়। নায়িকার ড্রেস একটি ফ্যাশন হাউজ থেকে আমি বলে দেয়ায় দিয়েছে। সায়ন্তিকা যাওয়ার আগে আবার বুঝিয়ে দিয়েছে। শুটিংয়ে গানের ড্রেসগুলো আমি সংগ্রহ করেছি। এরপরেও আমি চেয়েছিলাম কাজটি ভালোভাবে শেষ হোক।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাজু কামরুল পরিচালিত ‘ছায়াবাজ’ ছবির শুটিং হয়েছে সাতদিন। বাকি আছে অর্ধেক শুটিং। এই অবস্থায় সিনেমাটির শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, তাহলে কি ‘ছায়াবাজ’ সিনেমা আর হবে না? জায়েদের উত্তর, যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে এতে যদি প্রযোজক চান কাজটি শেষ করতে আমরা তাকে হেল্প করবো। কিন্তু তিনি সবখানে যেসব বলে বেড়াচ্ছেন এতে আমার মনে হয় ওনার মানসিক সমস্যা আছে।