প্রবাস মেলা ডেস্ক: সুইমিং কস্টিউমের ফ্যাশন শো। বিভিন্ন ডিজাইনের সাঁতারের পোশাক পরে র্যাম্প মাতাচ্ছেন সুন্দরীরা। এমন শো আকছার দেখা যায় বিভিন্ন দেশে। তবে এবার এমন ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে সৌদি আরবে। যা সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এবারই প্রথম সাঁতারের পোশাকের ফ্যাশন শো হলো সৌদি আরবে। যে দেশে এক দশকেরও কম সময় আগে নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল, সেখানে এ রকম পদক্ষেপ অনেককেই অবাক করেছে। ঐতিহাসিক ফ্যাশন শোটি আয়োজন করা হয় গত শুক্রবার (১৭ মে)। সৌদি আরবের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সেন্ট রেজিস রেড সি রিসোর্টে রেড সি ফ্যাশন সপ্তাহের উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় এটি অনুষ্ঠিত হয়।
রিসোর্টটি রেড সি গ্লোবালের অংশ, যা সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির গিগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের তত্ত্বাবধান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই ফ্যাশান শো’য়ে মরক্কোর ডিজাইনার ইয়াসমিনা কানজালের তৈরি করা পোশাক পরে র্যাম্প মাতান সুন্দরী মডেলরা। পুলের ধারে আয়োজিত এই ফ্যাশন শোয়ে অধিকাংশই ছিল লাল, বাদামি ও নীল রঙের এক টুকরা কাপড়। অধিকাংশ মডেলের কাঁধ উন্মুক্ত ছিল এবং শরীর আংশিক দৃশ্যমান ছিল।
ডিজাইনার কানজাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা সত্যি যে এই দেশটি খুবই রক্ষণশীল। কিন্তু আমরা বিশ্বের কাছে আরবের প্রতিনিধিত্ব করে এমন মার্জিত সাঁতারের পোশাক দেখানোর চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, যখন আমরা এখানে এসেছিলাম, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে সৌদি আরবে একটি সুইমস্যুট ফ্যাশন শো একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এটি প্রথমবারের মতো এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা সম্মানের।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৭ সালে সিংহাসনে প্রথম বসেন। তার হাত ধরে ইতিমধ্যেই নানান পুরনো সংস্কার ত্যাগ করে একটু একটু করে আধুনিক হচ্ছে সৌদি আরব। সহজ হচ্ছে সেখানকার কঠোর নিয়ম-কানুনগুলো।
২০২২ সালে সৌদির ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ১২.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল যা দেশের জিডিপির ১.৪ শতাংশ। এমনকি এই ইন্ডাস্ট্রিতে ২৩০,০০০ জন লোককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে সরকারি সৌদি ফ্যাশন কমিশনের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।