প্রবাস মেলা ডেস্ক: নিউইয়র্কে ২৫ মে ২০২৪ সব্যসাচী সেজান মাহমুদের হাতে প্রবাস মেলা’র সৌজন্য কপি তুলে দেন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক শহীদ রাজু। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সেজান মাহমুদের সহধর্মিনী তৃষ্ণা মাহমুদ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহকাম উল্লাহ।
পেশাগত কাজে প্রবাস মেলা’র নির্বাহী সম্পাদক শহীদ রাজু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেখানে ২৪- ২৭ মে ২০২৪ মুক্তধারা ফাউণ্ডেশন এর উদ্যোগে আয়োজিত ৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বইমেলা পরিদর্শনে যান। সেখানে সেজান মাহমুদ এবং অন্যান্য লেখক, পাঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সাথে বাংলা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা বিষয় নিয়ে প্রাণবন্ত আড্ডা এবং আলোচনা হয়। আলোচনার এক ফাঁকে প্রবাস মেলার সৌজন্য কপি সেজান মাহমুদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
প্রবাস মেলার ঐ সংখ্যায় সব্যসাচী সেজান মাহমুদের একটি লিড সাক্ষাৎকার কাভার স্টোরি হিসেবে ছাপানো হয়। পত্রিকাটি হাতে পেয়ে সেজান মাহমুদ পত্রিকার সকল কলাকুশীলবদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, সেজান মাহমুদ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদ। একাধারে তিনি সাহিত্যিক, গীতিকবি, ছড়াকার, চলচ্চিত্রকার, বিতার্কিক এবং কলামিস্ট হিসেবে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত। আমেরিকার মতো ব্যস্ততম দেশে থেকেও তার পেশাগত কাজের পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে পরম মমতায় লালন করছেন।
উল্ল্যেখ, সেজান মাহমুদের জন্ম ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায়। তার পৈতৃক নাম সালেহ মো: মাহমুদুর রহমান। বাবা মরহুম আফাজ উদ্দিন সরকার এবং মাতা ফিরোজা বেগম। সেজান মাহমুদ ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৯২ সালে এমবিবিএস পাশ করার পর আমেরিকার বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব মেডিসিনের জসলিন ডায়াবেটিস সেন্টার থেকে এন্ডোক্রাইনোলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ফেলোশিপ ট্রেইনিং লাভ করেন যা আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের একটি অত্যন্ত সম্মানজনক পুরস্কার হিসাবে অর্জন করেন (১৯৯৬)। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে স্কলারশিপসহ এমপিএইচ (১৯৯৭) এবং ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা বার্মিংহাম থেকে পিএইচডি (২০০১) ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে অবস্থিত Quinnpac University Frank H. Netter MD School of Medicine এর Professor এবং Equity, Inclusion and Diversity বিভাগের Associate Deen হিসেবে কর্মরত আছেন।