চঞ্চলা চঞ্চু:
সহস্র মাইল ‘দৌড়’, শুধুই পায়ে পায়ে খেলে গেছে খুঁড়িয়ে হাঁটার খেলা!
সুকল্পিত পথের চক্রে পড়ে-অতন্দ্র হাড়,
বেঁকে গেছে সময়ের দাবিবিমুখ কঠিন নিস্তব্ধতায়।
আগেই অবারিত মায়ার সন্ন্যাস সিঁড়ি, উঠে গেছে সময়ঘাতী এক অনিচ্ছার দিকে।
অঘাটে নেমে গেছে উজ্জীবিত দিনের দুর্লভ তরঙ্গলীলা।
নিকষিত বিষাদের ভেতরে-কোনো এক পেশিময় মুদ্রার পিঠ,
জীবনের এপিঠ-ওপিঠ উল্টে খায়, অবলীলায়।
এখনো ফোঁটায় ফোঁটায় ক্ষরিত স্বপ্নের অনাবাদী নির্যাস-
টুউপ্ টুউপ্ শব্দে বিস্ফোরিত হয় মাংসে-মজ্জায়।
নিষ্ফল জপমালা ছিঁড়ে ছিঁড়ে বিস্ময়ের দিকে-
মিলিয়ে যায় নিয়মের সূত্রে পালিত-বরফবন্দি গৃহস্থ শ্বাস,
তবুও নির্নিমেষ মনোযোগ পোহাতে পোহাতে দেখি
এবং শুনি-বিবেকের নীলনদে দুলছে, সনাতন ভেলার গোপন ধমকানি!
ক্ষয়াচ্ছন্ন ভেলায় পরিষ্কারভাবে জেগে ওঠে-দুঃসহ রাতের জীবন্মৃত বয়ান,
আর ডুবে ডুবে যায় নিঃস্ব অতীতের সব উর্বর দিন।
জ্যালজ্যাল মনের গভীর ফুঁড়ে কখনো সুবাতাস-
নিজেকে উজাড় করে কানে ঢেলে যায়-শস্যবানের প্রগাঢ় আহ্বান!
ফসলি স্বরে প্রায়ই এখানে ধ্বনিত হয়, “পুনর্বার আগুনে আগুন পোড়াও।
সীমিত আয়ুর পরিধেয় পালক, দীর্ণ অন্তঃপুরে খসিয়ে,
তুমি নিগৃঢ় অশ্রুপাতে ডুবিয়ে দাও-অমার্জনীয় যত ভুল পাণ্ডুলিপি!
নিঃশব্দে মাড়িয়ে আসো আত্মঘাতী কর্তব্যের নিষ্ফল উপাসনা।”