জাহাঙ্গীর আলম শিকদার, লন্ডন, যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি: বেশিরভাগ ভ্রমনপ্রেমিদের অজানাকে জানা এবং অচেনাকে চেনা তাছাডা় কাজের শেষে বা ছুটির দিনে স্বভাবতই একটু রিলাক্স বা সন্তানাদিকে একটু সময় দেওয়া উদগ্রীব প্রবাসীদের থাকে, কেননা কাজের ব্যস্ততা না হয় একঘেয়েমি হয়ে উঠে। একাধিক মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত হয় শরিয়তপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, ইউ’কের। ২৬ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার ইংল্যান্ড এর Chichester, West Wittering Beach এ পিকনিক বা আনন্দ ভ্রমণের যাত্রা শুরু।
সংগঠনের সভাপতি বেলায়েত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত ঘোষের উপস্থিতিতে লন্ডনের ম্যানর পার্ক এবং ইলফোর্ড থেকে পিকনিক এর যাত্রা শুরু হয়।
খুব সকালে তিনটি বাস নিয়ে যাত্রা, প্রায় ৩ ঘন্টার পথ মাঝ পথে এসে সকালের নাস্তা। বাকি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সাথে সাথে বাস থেকে নেমে সবাই অতীতের গ্রাম বাংলার নাচকে মিক্সড ডিজিটাল নাচে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করে। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল ক্যামেরাবন্দী আই অন টিভি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম সিকদার। ধরা পরে নাচের সেই দৃশ্য, এছাড়া যারা নাচছে তাদের চেয়ে দর্শকরা দেখে হাসতে হাসতে বেহুশ প্রায়। লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় মামুনুর রশিদ, আকতার হোসেন বাচ্চু বেপারী, হাকিম সিকদার, মামুন ফকির আর লিপু ছাডা়ও বেশ কয়েক জনের নাচ ‘হাওয়া’ সিনেমা’র মত ভাইরাল হওয়ার উপক্রম। তাছাডা় গান বাজনা, খেলাধুলা সহ নানান কার্যক্রমে অনুষ্ঠানটি ছিল খুবই মনমুগ্ধকর ও প্রাণবন্ত।
এছাডা়ও সমুদ্রের তীর ঘেষে বাচ্চাদের এবং বড়দের পানি নিয়ে খেলা আর সমুদ্রে গোসলের আমেজই ছিল অন্য রকম, কেননা মেঘলা আকাশে কখনো রৌদ্র কখনো গুড়িগুড়ি বৃষ্টির ছোঁয়াতে পিকনিক বা চড়ুঁই ভাতি অনুষ্ঠানটি ছিল এক আনন্দময় পরিবেশ। সবাই ছিল হাসিখুশী।
সার্বিক সহযোগিতায় এবং উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা নাসির মাতবর, সিনিয়র সহ সভাপতি আকতার হোসেন বাচ্চু, সহ সভাপতি মাসুদ সরদার, সুলতান সরদার, ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ তোহিদুল আলম লিপু, সহ সাধারণ সাম্পাদক আহমেদ রাজু বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাকিম সিকদার, প্রচার সম্পাদক ফকির আল মামুন, বিশেষ সদস্য মামুনুর রশিদ সহ আর অনেকে।
পিকনিক খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি আরও ছিল বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের হরেক রকমের খেলাধুলা’র প্রতিযোগিতা এবং আকর্ষণীয় রেফ্যাল ড্র এর পর বিজয়ীদের পুরস্কার।
অবশেষে প্রায় বেলা শেষে সবাই চলে আসে যার যার গন্তব্যস্থলে। সত্যি সমুদ্র সৈকতের ভালবাসা আর তার অপরূপ মনোরম দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিল এই দিনটিকে ঘীরে কিছু শরীয়তপুরবাসীর স্বজনরাও। ভ্রমণের এমন মধুর অভিজ্ঞতা বিলেতের মাটিতে, এত সুন্দর আয়োজন দেখে সবাই খুশি এবং মুগ্ধ। মনে হয়েছিল শরিয়তপুর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অথবা কুয়াকাটায় আছি। তাইতো পরবর্তী চড়ুইভাতি কিংবা বনভোজনের অপেক্ষায়। ঠিক এভাবেই আন্তরিকতার সুন্দর এক পরিবেশ ও পরিচালনার আশ্বাস দেন শরিয়তপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাগণ।