ওয়াসীম আকরাম, বৈরুত লেবানন: হামিদুল ইসলাম শ্রাবণ, পিতা আবদুল ছালাম, মাতা মহসীনা বেগম, গ্রাম বানিকুঞ্জ, ডাকঘর বালিজুডী, উপজেলা মাদারগঞ্জ, জেলা জামালপুর, বাংলাদেশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার ভোর সাড়ে ৪টায় স্ট্রোক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহে রাজিউন)।
হামিদুল ইসলাম শ্রাবণ দীর্ঘ প্রায় ২০/২২ বছর কর্মময় জীবন নিয়ে বসবাস লেবানন। সে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে সুসম্পর্ক রেখে সুনামের সাথে ব্যবসা করতেন। লেবাননে যাকে একনামে চিনতেন। লেবাননে বাংলাদেশি নারীকর্মী তার সহযোগিতায় প্রায় দুই থেকে তিন হাজারের উপর প্রবেশ করেছিল। ব্যবসায় নানান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অবশেষে বৈরুতে থেকে দূরে সরে পাহাড়ি এলাকা নাবাতিয়ে গিয়ে ছোট একটি দোকান পরিচালনায় ছিলেন হামিদুল।
প্রত্যেক দিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাসায় আসার পর বুকে ব্যাথা অনুভব করে এবং পাশে থাকা প্রবাসীরা লেবু শরবত দিয়ে সেবা করেন। তার অবস্থা অবনতি দেখে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বর্তমানে তার মৃতদেহ নাবাতিয়া হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে তার মৃত্যুতে লেবানন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সমূহ পৃথক পৃথক শোক প্রকাশ করে তার আত্নার মাগফেরাত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন জানায়। অন্যদিকে তার মৃত্যু খবর পরিবারে জানার পর শোকের ছায়া নেমে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তারই ছোট ভাই হুমায়ুন কবির।
পরিবারের পক্ষ থেকে লেবাননের রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে যে তার লাশ যেন অতি তাড়াতাড়ি দেশে ফেরত পাঠাতে। এদিকে রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার বলেছেন, হামিদুল এখানে বৈধ নয়। আইনি জটিলতা শেষ অল্প সময়ের মধ্যে তার লাশ দেশে ফেরত পাঠাতে চেষ্টা করবেন।