প্রবাস মেলা ডেস্ক: দক্ষিণ লেবাননের গ্রামে গ্রামে টার্গেটভিত্তিক স্থল অভিযান শুরু করল ইসরায়েল। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ফলে এতদিন ধরে লেবাননে ইসরায়েল স্থল অভিযানে নামতে পারে যে আশঙ্কা ছিল, তা অবশেষে সত্য প্রমাণিত হলো। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সীমান্তের নিকটবর্তী লেবাননের গ্রামগুলিতে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে কয়েক ঘণ্টা আগে স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। স্থল অভিযানের সহায়তায় রয়েছে বিমান ও গোলা হামলা। তবে এই অভিযান হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সীমিত, স্থানীয় ও টার্গেটভিত্তিক।
ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী ইয়োসি বেলিন তেল আবিব থেকে আলজাজিরাকে বলেছেন, আমি সত্যিই আশা করি আমরা একটি সীমিত স্থল অভিযানের কথা বলছি। আমরা অতীত থেকে জানি এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। এমনকি যদি সরকার এটিকে দ্রুত শেষ করতে এবং মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য আন্তরিকও হয়।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা।
গত শুক্রবার বৈরুতে এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। তার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুল্লাহ। নাসরাল্লাহকে মারার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ইসরায়েল এখন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করলো। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল হলো। এতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি হতে পারে।