ওয়াসীম আকরাম, বৈরুত, লেবানন: ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় বৈরুতের অভিজাত হোটেল ফিনিশিয়ায় বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কূটনৈতিক রিসেপশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে লেবাননের বাস্তুচ্যুত বিষয়ক মন্ত্রী গাসান আতাল্লাহ রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ- লেবানন পার্লামেন্টারী ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপের সভাপতি জনাব ইয়াসিন জাবের স্পীকারের প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্য নাজিহ নাজেম প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও লেবাননের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, লেবাননের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়িক নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার ও তাঁর সহধর্মিনী সাদিয়া ফেরদৌস সরকারের আমন্ত্রণে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে লেবানন ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
তারপর রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সবশেষে তিনি সকল অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত উন্নয়ন বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, নারী উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি ও স্যাটেলাইট, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ সুবিধা তুলে ধরে লেবাননের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহবান জানান। তিনি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে বসবাসকারী ১.১ মিলিয়ন বাস্তুহারা রোহিঙ্গাদের সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর দ্রুত ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে লেবাননসহ আন্তর্জাতিক মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশ – লেবানন গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে আগামী দিনগুলোতে এসম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। লেবাননে কর্মরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসীকে সহযোগিতার জন্যে তিনি লেবাননের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।