প্রবাস মেলা ডেস্ক: দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। এরপর লেবানন ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের তীব্র লড়াই চলছে বলে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র আভিচে আদ্রাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের তীব্র লড়াইয়ের কথা জানান।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সাথে তীব্র লড়াই চলছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের উত্তরাঞ্চল থেকে লিতানি নদীর দক্ষিণ এলাকায় না যেতে এবং যানবাহনে চলাচল না করার জন্য সতর্কতা জারি করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে স্থল অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। যেসব জায়গায় হামলা হচ্ছে সেগুলো ইসরায়েলি কমিউনিটির জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছে তারা।
হামলার আগে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বৈরুতে শহরের তিনটি এলাকা থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এর আগে হেজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডার নাইম কাসেম বলেছেন, ইসরাইলের স্থল অভিযানের জন্য তারা প্রস্তুত এবং এই যুদ্ধ ‘দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে’। হিজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর তিনিই প্রথম কোনো মন্তব্য করলেন।
লেবাননের কর্মকর্তাদের মতে গত দুই সপ্তাহে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে এবং ঘরবাড়ি ছাড়া হতে পারে দশ লাখেরও বেশি মানুষ।
এদিকে সোমবার গভীর রাতে লেবাননের সাইডনের আইন আল-হিলওয়েহ শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ইসরাইল। ফাতাহ নেতা মুনির আল-মাকদাহই ছিল ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু। তবে হামলায় ফাতাহ নেতা বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে।
আল-মাকদাহ লেবাননে আল-আকসা মার্টিরস ব্রিগেডের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। এটি ফাতাহর মিত্র ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট।
লেবাননে ফিলিস্তিনিদের বড় শরণার্থীশিবিরগুলোর মধ্যে একটি হলো আইন আল-হিলওয়েহ শরণার্থী ক্যাম্প। গত বছর অক্টোবরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এই শরণার্থী ক্যাম্পটিতে হামলা চালাল ইসরাইল। এই শিবিরে প্রচুর শরণার্থী রয়েছেন।