রনি মোহাম্মদ, লিসবন,পর্তুগাল প্রতিনিধি: ”লিসবনের এই শহরে কথা হবে প্রাণ খুলে, জানিয়ে দিলাম আমি তোমাকে। দেখা হবে রে হবে দেখা হবে রে হবে, দেখা হবেই হবে দূতাবাসের পহেলা বৈশাখে”….বছর ঘুরে আবার এলো উৎসবপ্রিয় বাঙালির আনন্দঘন দিন পহেলা বৈশাখ। গুটি গুটি পায়ে বাংলা বছর এসে থামলো ১৪২৬ এর দুয়ারে। প্রতিবছর সব শ্রেণির সব বাঙালি এ দিনটিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে ঠিক তার ব্যাতিক্রম নয় পর্তুগাল প্রবাসী বাঙালিরাও।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ১ বৈশাখ রবিবার পালিত হলো বৈশাখী বরণ উৎসব ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। রবিবার ছুটির দিন থাকায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর পদচারণায় স্থানীয় সময় বিকেল ৫.৩০মিঃ মুখরিত হয়ে ওঠে দূতাবাস প্রাঙ্গনের। আর বৈশাখী সাজ রঙিন পাঞ্জাবি, বৈশাখী শাড়ী পরে যোগদেয় নানান বয়সের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।এ সময় দূতাবাসে আগতো প্রবাসীদের কে স্বাগত জানায় দূতাবাসের প্রথম সচিব হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ ও দূতাবাস কর্মকর্তাবৃন্দ। বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্টদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকীর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে বৈশাখী বরণ উৎসব অনুষ্ঠিনের সূচনা করা হয়।
প্রথম পর্বের শুরুতে, প্রবাসে বেড়ে উঠা শিশুদের নৃত্য, ছড়া গান, মহিলাদের জন্য ছিল বালিশ খেলা, পুরুষদের হাঁড়ি ভাঙা আর প্রবাসী রেয়ার ব্র্যান্ড শিল্পীদের যন্ত্র সংগীতের মন ভোলানো ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে” সুরের আবহের মধ্য দিয়ে মাতিয়ে তোলে পুরো দূতাবাস প্রাঙ্গন। সবশেষ ছিলো র্যাফেল ড্র ও পুরষ্কার বিতরণী। এছাড়াও বৈশাখী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠানে আগত প্রবাসীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী দেশীয় ২০ প্রকারের বর্তা, পান্তা ভাত, ইলিশ ভাজা সহ হরেক রকমের দেশীয় খাবারের পাশা পাশি নানান ধরনের মিস্টান্ন ও দেশীয় পিঠা।