প্রবাস মেলা ডেস্ক: লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দিবেইবাহর বাড়িতে আরপিজি (রকেট প্রোপেলড গ্রেনেড) হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (৩১ মার্চ) ত্রিপোলির হেয় আনদালুস এলাকায় তার বিলাসবহুল বাড়িতে এই হামলা হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লিবীয় মন্ত্রী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হামলায় বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
স্থানীয় দুই বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা সাগরপাড়ে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির দিক থেকে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়।
২০১১ সালের ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর লিবিয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০১৪ সালে দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন থেকে লিবিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম অংশ শাসন করছে দুটি পৃথক প্রশাসন।
২০২১ সালে জাতিসংঘ-সমর্থিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দিবেইবাহের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর লিবিয়ার পূর্ব অংশ তার বৈধতাকে স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দেয়।
গত মার্চের শুরুর দিকে লিবিয়ার তিনজন প্রধান নেতা বলেছিলেন, তারা একটি নতুন ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের ‘প্রয়োজনীয়তার’ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন, যা বিলম্বিত নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করবে।
তবে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দিবেইবাহ।
সূত্র: রয়টার্স