সৈয়দ এম হোসেন বাবু, লস এঞ্জেলস, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: বাংলা সাহিত্যের প্রাণ পুরুষ পাঁচ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রজনীকান্ত, অতুলপ্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সঙ্গীত নিয়ে ‘পঞ্চ কবির গান। বাংলা গানের এই পঞ্চকের জন্ম উনবিংশ শতকে আর লালন ও বিকাশ বিংশ শতাব্দীতে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে (১৮৬১-১৮৯৯ সাল) পঞ্চকবির আগমন।
সমকালীন এই পঞ্চ গীতিকবির গান যেমন সমকালে (১৮৭৫-১৯৪২সাল পর্যন্ত), তেমনি পরবর্তীকালেও বাংলা গানের ঐতিহ্যকে আরও বেশি ঐশ্বর্যমণ্ডিত করেছে। বিশেষভাবে বলতে গেলে বাঙালির সৃজনশীলতা বিকাশে এই পাঁচজন গীতিকবি বিশেষ অবদান রেখেছেন।এই পঞ্চকবির অজস্র গান রচনা ও সুরারোপের মাধ্যমে তাঁরা বাংলা গানের ভান্ডারকে করে গেছেন সমৃদ্ধ। উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বাংলা গান তাঁদেরই অবাদন।
বৈচিত্রময় তাঁদের রচনা আর মাধূর্যমন্ডিত সুরে সমৃদ্ধ তাঁদের গান। বাংলাদেশের ঐতিহ্য তাদের গানে রূপায়িত হয়েছে স্ব-মহিমায়। বিষয়বস্তুর বৈচিত্রে সে সকল গান হয়ে আছে অতুলনীয়। রচনা ও সুরের আঙ্গিক, গায়কী, রূপের প্রকাশ তাঁদের গানগুলোকে মহিমান্বিত করে তুলেছেন। তাঁরা গান লিখেছেন, সুর করেছেন এবং গান গেয়েছেন স্বকন্ঠে। অনেক গুণে তাঁরা ছিলেন গুণান্বিত। একই সময়ে একই সঙ্গে সকল প্রতিভার অধিকারী হয়ে তাঁদের আবির্ভাব সঙ্গীত জগতে এক বিরল ঘটনা। একই সময়কালে জন্ম নেয়া এই কবিকুলের রচনার মাঝেও বিশেষ সাদৃশ্য লক্ষণীয়, সুরের আবেদন সর্বজনীন হলেও বাংলা গানের ক্ষেত্রে কথার গুরুত্ব অপরিসীম। পঞ্চকবির গানে সুরের সঙ্গে কথার সার্থক মিলন ঘটেছে। এরা সবাই ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। তাই তাঁদের গানে কথা ও সুর মিলেমিশে এক সুসংহত রূপ নিয়েছে।
২৩ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার সন্ধ্যায় লস এন্জেলেসের প্রাণ কেন্দ্র লিটল বাংলাদেশ সংলগ্ন অনুপমা রীয়া অডিটোরিয়মে বাংলাদেশ একাডেমীর কর্নধার জাহিদ হোসেন পিন্টুর ধারাবর্ণনা এবং কবিতা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় কন্ঠশিল্পী হাসিনা পারভীন বুলবুল, নাসরিন হাসান, কাবেরী রহমান, নাহিদ সিরাজী সিমিম, উম্মে সালমা,পলাশ আহম্মেদ, শুভানন্দ পুরী তমাল হোসেন এবং তবলায় পিয়াল হোসেনকে নিয়ে লস এন্জেলেস প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনমুগ্ধকর সংগীত সন্ধ্যা উপহার দিলেন।