সৈয়দ এম হোসেন বাবু, লসএঞ্জেলস, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: দেশের সীমানা পেরিয়ে বসন্ত উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে প্রবাসেও। ১৭ মার্চ ২০১৯ রবিবার সন্ধ্যায় এনাহেইমে ঋতুরাজ বসন্তে স্বাধীনতা উৎসব উদযাপিত হয়েছে। অরেঞ্জ কাউন্টি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মিলিত আয়োজনে এনাহেইমের একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে ওস্তাদ কাজী নাজির আহম্মেদ হাসিবের পরিচালনায় জি এম বাবু ও সামসুর নাহারের সঞ্চালনায় আশির দশকের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী এম এ সোয়েব, শহিদুল আহম্মেদ মিঠু, কাবেরী রহমান, জাহাংগীর আলম, শিল্পী রহমান, সায়লা রুমী, হিমু, রবি, শেলী আলম, কানিজ ফাতেমা, হাফিজুর রহমান এপোলকে নিয়ে গানে গানে উৎযাপন করলো বসন্তে বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা উৎসব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাকসুদা ইয়াসমিন। পরে দু’দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ, নিউজিল্যান্ডে ভয়ানক সন্ত্রাসী হামলা নিহত এবং লস এন্জেলসের সদ্য প্রয়াত আলী তৈয়াবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন কর হয়।
আহবায়ক রেজাউল করিম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে সর্বাত্মক লড়াই শুরু করেছিল বাঙালি। যার ধারাবাহিকতায় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জন্ম নেয় নতুন রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’। বাঙালি জাতির ইতিহাসে রক্তের আখরে লেখা গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। কমিউনিটি নেতা মোমিনুল হক বাচ্চু বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ২৬ মার্চ সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পাক হানাদারদের হত্যা, ধ্বংস ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে উদয় হয় নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
১৯৭১ সালের মুক্তি বাহিনী ও মিত্র শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক হানাদার বাহিনী। বাংলাদেশ ইউনিটি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নজরুল আলম বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ নামে এই ভূখন্ডটি বিশ্ব মানচিত্রে উদয় হতোনা, মুক্তিযাদ্ধা আমানুর রহমান, মুক্তিযাদ্ধা আনিসুর রহমান, শেখ রাজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শেষে রাজশাহী বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী আলী আশরাফ রুনুকে “লাইফ টাইম এচিভমেন্ট” এবং এম এ সোয়েবকে এষ্টর অফ দ্য শো এওয়ার্ড প্রদান করেন অরেঞ্জ কাউন্টি প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ লস এন্জেলেসের সাধারণ সম্পাদক তারেক বাবু।