প্রবাস মেলা ডেস্ক: সম্প্রতি স্কটল্যান্ড পার্লামেন্ট সদস্য ও স্যাডো মিনিস্টার ফয়ছল চৌধুরী এমবিই, এমএসপিকে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- লন্ডনের সিটি ইস্ট এর এসেম্বলি মেম্বার উমেশ ডেশাই, লন্ডনের ক্যামডেন বোরো’র মেয়র নাজমা রহমান, লন্ডনের নিউহ্যাম বোরো’র চেয়ারপার্সন কাউন্সিলর রহিমা রহমান। এ মহতি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের সাবেক লিডার হেলাল উদ্দিন আব্বাস।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা দেশটির রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। তারা বিভিন্নভাবে আন্তঃসাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য যুক্তরাজ্যের মূলধারার সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করছেন। যা দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রসংশা পেয়েছে ইতিমধ্যে। স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের প্রভাবশালী সদস্য ফয়ছল চৌধুরী এমবিই, এমএসপি তারই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আমরা তাকে সংবর্ধনা দিতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত হয়েছি।
সংবর্ধিত হয়ে ফয়ছল চৌধুরী এমবিই, এমএসপি বলেন- প্রবাসী হলেও বাংলাদেশি হিসেবে আমি বরাবরই নিজেকে একজন গর্বিত মানুষ মনে করি। আপনারা ভালোবেসে আমাকে যে সংবর্ধনা দিয়েছেন তার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই আমাদের মেধা, শ্রম এদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজে লাগাবো একইভাবে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকেও সমৃদ্ধ করতে আমরা একাত্ম হয়ে কাজ করবো।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতে লন্ডন বোরো অব টাওয়ার হ্যামলেটস এর পক্ষ থেকে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশি খালেস উদ্দিন আহমেদ, নাজমা হোসাইন, সাদ চৌধুরী, হামিদা ইদ্রিস, তারিক খান, শাহেদা রহমান, ড. আনিসুর রহমান আনিস, রুহুল আমিন, আনোয়ার মিয়া, মো: আব্দুল রব রাজু, মো: সুয়েজ মিয়া, শেখ সিদ্দিক, টাওয়ার হ্যামলেটস এর সাবেক মেয়র মো: দরস উল্লাহ্।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে মো: দরস উল্লাহ্ বলেন- ফয়ছল চৌধুরী এমবিই, এমএসপি নিঃসন্দেহে একজন গুণী মানুষ। আজ তাকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তিনি স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের একজন প্রভাবশালী সদস্য। তিনি কালচার, ইউরোপ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যাডো মিনিস্টার। নানাভাবে তিনি যুক্তরাজ্য তথা স্কটল্যান্ডের জনগণের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আমাদের এই বাংলাদেশি ভাইটির জন্য নিদ্বিধায় গর্ববোধ করতে পারি।