মার্ক রায়, তুলুজ, ফ্রান্স প্রতিনিধি: উৎসাহ উদ্দীপনা মাধ্যমে লন্ডনে পালিত হলো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খ্রিস্টান এমপি জুয়েল আরেং এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। স্থানীয় খ্রিস্টান সংগঠন বাংলাদেশে খ্রিস্টান মিনিস্ট্রি ইউকে এবং বাংলাদেশে খ্রিস্টান কমিউনিটি ইউকে যৌথভাবে এ আয়োজন করে। ১৩ জুলাই পূর্ব লন্ডনের সেন্ট এ্যান্টনী প্রাইমারি স্কুলের মিলানায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউরোপের অন্য দেশ সহ লন্ডন এর আশেপাশে শহরগুলো থেকে খ্রিস্টান ভক্তরা হাজির হয়েছিল নিজের ভালোবাসার মানুষ কে এক পলক দেখতে এবং তাদের ভালোবাসা জানাতে।
বিকেলে উপস্থিত খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ এবং সংসদ সদস্যকে নিয়ে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একান্ত বৈঠকে একটি সর্ব ইউরোপীয় খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গঠনের ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় এবং মার্ক রায় কে Coordinator করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর মাননীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন। অতঃপর লিওনার্ড রোজারিও এর সভাপতিত্বে জুড মার্ক রোজারিও এর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুরু হয়। শুরুতেই এমপি জুয়েল আরেং এর প্রয়াত পিতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রমোদ মানকিন মন্ত্রীর স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। যুথিকা কস্তার বাইবেল পাঠ এবং ফাদার বিজয় চন্দ বনিক এর বিশেষ আশীর্বাদের পর ফ্রান্স থেকে আগত বাংলাদেশি প্রবাসী খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন তুলুজ-ফ্রান্স এর সম্মানিত সেক্রেটারি এবং গণমাধ্যমকর্মী মার্ক রায় সকলের পক্ষ থেকে খ্রিস্টান সমাজের মাননীয় এমপি জুয়েল আরেং এমপি কে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে স্বাগত জানায়।
আলোচনার শুরুতেই আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য পাষ্টার কাজল সরকার মাননীয় সংসদের জীবনী সম্পর্কে আলোকপাত করে। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ফাদার জন জিজাস, মার্ক রায়, ব্যারিস্টার মুক্তি সরকার, রেভা: মোহন জাইগিরধর,লেনার্ড রোজারিও সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানের এই পর্যায়ে উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে ভালোবাসার স্বরূপ জুয়েল আরেং এমপি কে একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং সকলের ভালোবাসা ও সম্মানের মানুষ জুয়েল আরেং এমপি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক এবং সর্বোপরি তাঁর নিজের এলাকার লোক সকলের কাছে সে ভীষণ কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, এই সরকারের আমলে বাংলাদেশে আমরা খ্রিস্টান সমাজের মানুষ অনেক বেশি নিরাপদ।
পরিশেষে মিল্টন কস্তার ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং পিঠা মেলার পুরস্কার বিতরণী করে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে মিল্টন কস্তা এবং চন্দনা কস্তার সঞ্চালনায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আনা সরকারের ভায়োলিনের মায়াবী সুর সবাইকে বিমোহিত করে। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ফ্রান্সের তুলুজ থেকে আগত ক্ষমা রায়, মিতালী, সরকার, গ্রেইস, জেনি,চন্দনা কস্তা, ভিন্সেন্ট বিশ্বাস, পাষ্টার কাজল সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতা করে বাংলাদেশি প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন তুলুজ- ফ্রান্স, প্রবাসী বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন-ইতালি, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন-জার্মানি এবং ইন্টারন্যাশনাল বেঙ্গলি ফেলোশিপ -বার্মিংহাম।