প্রবাস মেলা ডেস্ক: টানা ভারি বর্ষণের জেরে ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় বইছে যমুনা নদীর পনি। দুকূল উপচে আশেপাশের অঞ্চলগুলি প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি পৌঁছে গেছে নর্থ দিল্লিতে। বন্যার পানি বুধবার সন্ধ্যায় নর্থ দিল্লির রিং রোডে পৌঁছে গেছে বলে জানায় এনডিটিভি। সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটারে এক বিবৃতিতে সতর্কতা জারি করে জনগণকে মোনাস্ট্রি এবং আইএসবিটি, কাশ্মীর গেটের মাঝের রিং রোড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আউটার রিং রোড ভারতের রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে আছে এবং এটি নগরীতে প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করায় বুধবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যমুনা তীরের কাছে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জনগণের জান-মালের সুরক্ষা করতেই হবে।”
Traffic Alert
— Delhi Traffic Police (@dtptraffic) July 12, 2023
Traffic is affected on Ring road between Monastery and ISBT, Kashmere Gate due to overflowing Yamuna river water. Kindly avoid the stretch. pic.twitter.com/frUaY4WmnX
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি তার সরকারের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হরিয়ানার হাতিনিকুণ্ড ব্যারেজ দিয়ে আর পানি না ছাড়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টিতে প্রায় পুরো উত্তর ভারতের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কাজ জোরদার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী। এ অঞ্চলের অনেকগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এসব নদীর তীরবর্তী নগর ও ছোট শহরগুলোর রাস্তা ও ভবনগুলো হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে আছে।
বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিমাচল। অবিরাম বৃষ্টির কারণে হড়কা বান ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এতে ঘরবাড়ি, সম্পত্তি ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি ইতোমধ্যে কয়েকশত কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। বন্যায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে।