মোঃ জাহাঙ্গীর অালম হৃদয়, রিয়াদ, সৌদিআরব প্রতিনিধি: ১৫ আগস্ট সকালে জাতীয় শোক দিবস ও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতিরজনক এর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ এর সভাপতিত্বে – দূতাবাসের কার্যালয প্রধান ড.ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দূতাবাসের অনুবাদক মো: সাদেকুর রহমান।
এর পর রাষ্ট্রপতির বানী পাঠ করেন ইকনোমিক কাউন্সিলর ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন দূতাবাসের সোনালী ব্যাংকের এ,জিএম আবদুল ওহাব, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন শ্রম প্রথম সচিব মো: আসাদুজ্জামান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন প্রেসসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন, আদর্শ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাঁর স্বাধীনতার আহবানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে পড়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
শোক সভায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার অভিবাসী বাংলাদেশিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রিয়াদস্থ বাথা বাংলাদেশি ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ অফিসার সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর অালম হৃদয় এর নেতৃত্বে প্রবাসীদের ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার মোহাম্মদ আসাদ, সহযোগিতায় ছিলেন মার্কেটিং অফিসার রুস্তম খান, শাহাদাত পাটোয়ারী প্রমুখ। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের এমন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর শহীদ পরিবারবর্গ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।