মো: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, রিয়াদ, সৌদি আরব প্রতিনিধি: ২১ নভেম্বর ২০২৩ সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ডিফেন্স এ্যাটাশে, কূটনীতিক, সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, রিয়াদস্থ বাংলাদেশী চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার অভিবাসীগণ যোগদান করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাস ভবনে বর্ণিল আলোক সজ্জা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেজর জেনারেল ফাহাদ বিন আবদুল্লাহ আল সুবাই উপস্থিত ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফেয়ার্স মোঃ আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স এ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, প্রধান অতিথিকে নিয়ে কেক কাটেন। এরপর চার্জ দ্যা এফেয়ার্স ও দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাশে প্রধান অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ডিফেন্স এ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম ও প্রতিরোধের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে যা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে। ডিফেন্স এ্যাটাশে বলেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে।
ডিফেন্স এ্যাটাশে বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব শান্তি রক্ষায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন সংকট বহুল দেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় সাত হাজার বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছে। এ সময় বিভিন্ন শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালনকালে নিহত সেনা কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তিনি। বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে যা সশস্ত্র বাহিনীকে আরও দক্ষ, আধুনিক ও গতিশীল করবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুগঠিত, আত্মবিশ্বাসী ও অত্যন্ত পেশাদার যারা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিফেন্স এ্যাটাশে বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশ সৌদি নেতৃত্বাধীন ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি) এর গর্বিত সদস্য, যা বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ডিফেন্স এ্যাটাশে বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সৌদি আরবের সাথে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ, সমাজসেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।