মো: জাহাঙ্গীরআলমহৃদয়, রিয়াদ, সৌদি আরব প্রতিনিধি: “সবার জন্য সৌদি আরব, সবাই সৌদি আরবের জন্য” স্লোগানে রিয়াদের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রিন্স সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক কালচারাল ডে ২০১৯। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভীর। সন্ধ্যার পর মূল মঞ্চে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়নরত ১৬টি দেশের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন তাদের নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি।
অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের ঠিক পেছনেই লাল সবুজের বাংলাদেশের স্টল। কাছে যেতেই চোখে পড়লো একটি রিক্সা। পাশেই রাতের অন্ধকার মারিয়ে নব বধুকে ঘরে তোলার জন্য একটি সুসজ্জিত পালকি। এক কদম সামনে বাড়লেই সবুজ জমি এবং তা মারিয়ে সামনে এগুলেই লাল সবুজের বিশাল পতাকা। মাঝখানে রয়েছে বিশাল আকৃতির মানচিত্র। স্টলের পাশেই বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও স্থানের প্রামাণচিত্র।
স্টলের পেছনে উপরে রয়েছে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। স্টলের সামনের টেবিলে সারি সারি সাজানো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাহারী রকমের পিঠা-পুলি আর সুস্বাদু খাবার। কয়েক মিটার জায়গার মধ্যে একটি বাংলাদেশ বানানোর একটাই কারন আর তা হলো বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরা।
স্থানীয় সময় রাত ৮:৪০মিনিটে মূল মঞ্চে ছিল বাংলাদেশের পরিবেশনা। মিউজিক আর নৃত্যের তালে তালে “জেগে উঠো বাংলাদেশ গর্জে উঠো বাংলাদেশ, টিকাটুলীর মোড়ে একটা অভিসার সিনেমার হল রয়েছে, ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট” গান মাতিয়ে রাখে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের দর্শনার্থীদের।
রাত ৯টার কিছু পরে বাংলাদেশ স্টল পরিদর্শন করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, রিয়াদ দূতাবাসের মিনিস্টার ও কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেন, প্রথম সচিব (প্রেস) মো: ফখরুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক ও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, আজকে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সুন্দর করে তাদের স্টল সাজিয়েছে। এ জাতীয় আয়োজনে দূতাবাস যথাসাধ্য সহযোগীতা করে থাকে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে এ জাতীয় উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ স্টলের প্রধান ফায়সাল বলেন, অল্প সময়ের নোটিশে আমরা চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরার। দূতাবাস এবং ইভেন্ট অর্গানাইজার প্রতিষ্ঠান শ্যাডো’র সহযোগিতা ছিলো মনে রাখার মতো।
এতে অংশগ্রহনকারী স্টলগুলোর উপস্থাপনার উপর রেটিং করে পুরষ্কার দেয়া হয়। এ বছর প্রথম স্থান অধিকারের গৌরব অর্জন করে ফিলিস্তিন। পুরস্কার হিসাবে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় ৫ হাজার সৌদি রিয়াল।