হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: নূর মোহাম্মদ এমপি ২০১৮-এর নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিশোরগঞ্জের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের বিরোধ নিয়ে এখন নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে গত শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের ওপর যারা আক্রমণ করেছে তারা সবাই এমপির লোক বলেই প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে তিন জন গ্রেফতার হয়েছে আর সেই তিন জন এমপির ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। দুটি মামলায় আরও গ্রেফতার হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ওসিও নূর মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন বলে জানা গেছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, নূর মোহাম্মদের মনোনয়নের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের আপত্তি ছিলো। রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা এবং তিনি নূর মোহাম্মদকে মনোনয়ন না দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির অনুরোধ উপেক্ষ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদকে এমপি পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আর সেই মনোনয়নেই নূর মোহাম্মদ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
আর এ কারণে নূর মোহাম্মদ এমপি হওয়ার পর কিশোরগঞ্জের কাউকেই তিনি খুব একটা তোয়াক্কা করেন না বরং তার নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেছেন। আর বর্তমান ঘটনায় যে মেরুকরণ ঘটলো সেই মেরুকরণে নূর মোহাম্মদ একা হয়ে গেলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, শনিবার কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবা সচিব আবদুল মান্নানের ওপর হামলা হয়েছে। একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সৃষ্ট ঘটনার মুখোমুখি সচিব এবং স্থানীয় কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি।