হাকিকুল ইসলাম খোকন নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: রিভাইজড স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্লান (২০১৫-২০৩৫) এর পথচারীদের অগ্রাধিকার প্রদান, সাইকেলে চলাচলের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি ও গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ, প্রয়োজনীয় সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং মানসম্মত ফুটপাত তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলি সম্পন্ন হলে ব্যক্তিগত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আজ এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব কথা বলা হয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে এসংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দিবসটি কাল মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘Back to Walking and Cycling for Liveable Cities’ বাংলায় এর অনুবাদ করা হয়েছে ‘হাঁটা ও সাইকেলে ফিরি, বাসযোগ্য নগর গড়ি’ ৬০টি সরকারি ও বেসরকারিসংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হবে। নগরভবনে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজন করা সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন ডিটিসিএ’র পরিচালক মো: হোসেন মজুমদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। এতে আরেও বলা হয় খুব কাছাকাছি চলাচলে গণপরিবহন ব্যবহারে যানজটসহ জ্বালানি খরচ বাড়ছে। বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়িরও ব্যবহার। অধিক দূরত্বের জন্য গণপরিবহন নিশ্চিত করতে পারলে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এর পাশাপাশি যান্ত্রিক বাহনকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ঢাকারবায়ু দূষণরোধ করা সম্ভব।
খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বে এখন পরিবেশবান্ধব নগর যাতায়াতকে প্রধান্য দিয়ে হাঁটা ও সাইকেলকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।এতে আরো বলা হয় ঢাকা শহরে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভূমির মিশ্র ব্যবহার হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে এই মিশ্র এলাকাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে শৃঙ্খলা ও বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ঢাকা শহরেভূমির এই মিশ্র ব্যবহার স্বল্প দূরত্বে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করছে। বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ৮০ শতাংশ যাতায়াত ৫ কিমি এর মধ্যে, যার অর্ধেক যাতায়াত আবার ২ কিমি এর মধ্যে হয়ে থাকে। এই স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য সাইকেলে ও হেঁটে নিরাপদে চলাচলের পরিবেশ তৈরি করা এবং অধিক দূরত্বের জন্য গণপরিবহন নিশ্চিত করা গেলে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।