প্রবাস মেলা ডেস্ক: ২২শে শ্রাবণ, বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটি খসে পড়েছিলো এই দিনেই। বর্ষার এমনই দিনে ৮১ বছর আগে ১৯৮১ সালের ৬ আগস্ট, বাংলা ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বাংলা সাহিত্য ও কাব্যগীতির শ্রেষ্ঠ রূপকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরলোক গমণ করেন। রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে কণ্ঠশীলন প্রযোজিত আবৃত্তি প্রযোজনা ‘হৃদয়ে রবীনদ্রনাথ’-এর দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হয়। রবীন্দ্রনাথকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁকে নিবেদিত নির্বাচিত ২৩ জন কবির লেখা কবিতার গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মোস্তফা কামাল।
২২ শ্রাবণ। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটি খসে পড়ছেলি এ দনিইে। র্বষার এমনই দিনে ৭৯ বছর আগে ১৯৪১ সালরে ৬ আগস্ট, বাংলা ১৩৪৮ বঙ্গাব্দরে ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বাংলা সাহত্যি ও কাব্যগীতির শ্রেষ্ঠ রূপকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরলোকগমণ করনে। ৮০ বছর বয়সে চলে গেলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে এ মৃত্যু দেহান্তর মাত্র।
‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ গানের মাধ্যমে প্রদীপ হাতে শিল্পীরা মঞ্চে প্রবেশ করে। আর্যকণ্ঠ মীর বরকত আবৃত্তি করেন রাম চন্দ্র দাসের ‘সেই রবীন্দ্রনাথ’ সাথে বক্তব্য রাখেন বা পাঠ করেন কিছু কথা, যা প্রযোজনাটির সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে। তিনি বলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচরণ বিস্ময়কর এবং বিচিত্র পথে। সুক্ষ্ম ও ক্ষুদ্র বিষয়কে তিনি মূল্যবান করে ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারণ লেখনির মাধ্যমে। রবীন্দ্রনাথের লেখা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক আবৃত্তি প্রযোজনা, মঞ্চনাটক, নৃত্যনাট্য, শ্রুতিনাটক, চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। কণ্ঠশীলনও বেশকিছু আবৃত্তি প্রযোজনা মঞ্চস্থ করেছে রবীন্দ্রনাথের কাব্যসম্ভার নিয়ে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত লেখা নিয়ে তেমন আবৃত্তি প্রযোজনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। মোস্তফা কামাল রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান কবিদের অসংখ্য লেখা থেকে নির্বাচিত রচনা নিয়ে প্রযোজনাটি নির্মাণ করেছেন, যা প্রসংশার দাবীদার।
এই কাব্য আসরটি কণ্ঠশীলনের শিল্পীরা যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। মিলনায়তন ভর্তি দর্শকের প্রতিক্রিয়া ছিলো উৎসাহব্যঞ্জক। মুহুর্মুহু করতালিতে ছিলো যার প্রকাশ। মঞ্চ নির্মাণে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন পরিকল্পনাকারী। শিল্পীদের পোশাকে ছিলো মুন্সিয়ানার স্বাক্ষর। আলোর খেলাও মনোমুগ্ধকর করেছে প্রযোজনাটিকে। সবশেষে মনে এক ভালো লাগার পরশ নিয়ে ফিরলেন কবিতাপ্রেমী শ্রোতা।
প্রায় এক ঘণ্টার প্রযোজনাটির আবহ সংগীতে ছিলেন অসীম কুমার নট্ট। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। এছাড়াও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন নামী পারভীন, পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন আতিয়া সিদ্দিকা কেয়া এবং প্রযোজনা অধিকর্তা হিসেবে ছিলেন শেখ সাজ্জাদুর রহমান।
‘হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ’ আবৃত্তি প্রযোজনাটিতে অংশগ্রহণ করেছেন মীর বরকত, রইস উল ইসলাম, ইলা রহমান, সালাম খোকন, মু. আব্দুল কাইয়ুম, ইসমাইল হোসেন, রওশন আরা বেগম, শেখ সামিউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর ইসলাম, মেহেরুন্নিছা সিমা, জেবুন্নেছা চুমকি, সাবিহা আকতার, তানজিনা জাহান ও অর্পিতা ঘোষ অমি ।