প্রবাস মেলা ডেস্ক: চিরবৈরি ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধাজাহাজ নিয়ে লোহিত সাগরের এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার নৌ সেনা। পারস্য উপসাগর ও আশপাশের অঞ্চলে তেহরান তেলবাহী ট্যাংকার ও জাহাজ জব্দ করার পর সেখানে নিজেদের উপস্থিত বাড়ানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই সোমবার (৭ আগস্ট) জানিয়েছে, লোহিত সাগরে দুটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ৩ হাজার মার্কিন সেনা এসেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ইরানের হুমকির কারণে বাণিজ্যিক জাহাজে অস্ত্রধারী সেনা মোতায়েন করবে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ইরান বলেছে তারা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে চায়। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি কখনো নিরাপত্তা সৃষ্টি করেনি। এখানে তাদের হস্তক্ষেপ সবসময় অস্থিতিশীলতা ও অনিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্য ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তিটি নতুন করে করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সেটি আলোর মুখ দেখেনি। এরপরই ইরান নতুন করে তেলবাহী জাহাজ জব্দ করা শুরু করে। মার্কিনিদের সঙ্গে কোনো উত্তেজনা দেখা দিলেই ইরান জাহাজ জব্দ করে— যা তারা অনেক আগে থেকেই করে আসছে। গত এপ্রিলে ইরানি নৌ কমান্ডাররা কুয়েত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসগামী একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করে। ওই জাহাজটি মার্কিন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান শেভরনের ছিল। এরপর গত ৩ মে পানামার পতাকাবাহী আরেকটি জাহাজ জব্দ করে ইসলামিক বিপ্লবী কোরের সদস্যরা। ওই জাহাজটি আমিরাতের উপকূল দিয়ে যাচ্ছিল।
জুলাইয়ে মার্কিন নৌবাহিনী দাবি করে, হরমুজ প্রণালীতে সরাসরি গুলি ছুড়ে দুটি জাহাজ জব্দ করার চেষ্টা করেছিল ইরানি বাহিনী। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। এদিকে সোমবার লোহিত সাগরে দুটি যুদ্ধজাহাজ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর। তারা জানায়, অতিরিক্ত সেনা নিয়ে যুদ্ধাজাহাজ ইউএসএস বাটান এবং ইউএসএস কার্টার হল লোহিত সাগরে এসে পৌঁছেছে। যার মাধ্যমে ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী হয়েছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই।