হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আহুত কার্য্যকরী কমিটির এক সভা ২৮ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটস্থ, নিউইয়র্কের পালকী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনার শুরুতেই সভার এজেন্ডা সমূহ ও মিটিং ডাকার বৈধতা নিয়ে গঠনতান্ত্রীক ব্যাখ্যা দাবী করে সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিগত দুইটি কার্যকরী সভা মূলতবী করা হয়েছে। এই সভা কেন মূলতবী সভার কন্টিনিউশন সভা হিসেবে গণ্য করা হবে না এবং কেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের এজেন্ডা নাই তা জানতে চাওয়া হয়। বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২ টার্ম পার হলেও ৭ বছর ৮ মাসে উপণিত হওয়ার পর কেন এবং কোন ক্ষমতাবলে কমিটির শূন্যপদ/ নতুন পদ পূরনের এজেন্ডা সংযোজিত হয়েছে, বিভিন্ন বক্তা সভাপতির ব্যাখ্যা দাবী করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার পুন: পুন: নির্দেশনা থাকা সত্বেও ক্ষমতা আকড়ে রাখার এই হীন প্রচেষ্টা বন্ধের দাবী জানানো হয়।
সভায় দুপুর ১২:০০ টা থেকে বিকেল ৫:০০ টা পর্যন্ত মুহুর্মুহু উত্তেজনা, বাকবিতন্ডা, আক্রমন-পাল্টা আক্রমনের মধ্য দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাপতি সভা মূলতবী ঘোষণাকরেন।
রমজান ও ঈদের পর পুনরায় সভা আহ্বান করে ৯০ শতাংশ সদস্যের দাবী আগামী সেপ্টেম্বর জননেত্রীর উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করতে হবে। ৮ বছর পরে এসে, কমিটিতে পদ-পদবীর প্রলোভন দেখিয়ে ও অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি এবং পদোন্নতি মেনে নেয়া হবে না বলে বক্তারা কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। গত এক বছরে পর পর তিনটি কার্যকরী কমিটির সভা কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হওয়ায় অধিকাংশ নেতা-কর্মী হতাশা ব্যক্ত করেন এবং নেতৃবৃন্দ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, বশারত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন দত্ত আব্দুর, সাংগঠনিক সম্পাদক রহিম বাদশা, আইন সম্পাদক, এ্যাডভোকেট শাহ মো: বকতিয়ার আলী, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস আহমেদ,শিক্ষা সম্পাদক এম,এ,করিম জাহাঙ্গীর, মানবাধিকার সম্পাদক মেজবা আহমেদ, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদ ফরিদ আলম, সদস্য, শরীফ কামরুল আলম হীরা, সদস্য কায়কোবাদ খাঁন, সদস্য আসাফ মাসুক,সদস্য গাজী মোহাম্মদ আলী লিটু, সদস্য ইলিয়ার রহমান, সদস্য হোসেন রানা, সদস্য কামাল আহমেদ, সদস্য সাজু আহমেদ ও সদস্য, আব্দুস শহিদ দুদু প্রমুখ।