হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী পরিবার বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:০০ টায়), ২০২০ এ অনলাইন জুম এর মাধ্যমে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উক্ত আলোচনা সভাটি সঞ্চালন করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা ড. প্রদীপ কর। সভার প্রারম্ভে প্রদীপ কর কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ প্রদানের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে আত্মহুতি প্রদানকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক যারা এখনো বেঁচে আছেন তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়। দোয়ার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতা শরীফ কামরুল আলম হীরা।
দোয়া অনুষ্ঠান শেষে ড. প্রদীপ কর ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাগণ সহ উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে একে একে বক্তব্য প্রদানের আহ্বান জানান। সভায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতি সভাকে মুক্তিযোদ্ধাদের তারার মেলায় পরিণত করেছিল। সভায় উপস্থিত সকলেই বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযুদ্ধ সময়কালের গল্পে তাদের বক্তব্যগুলোকে উপভোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও রাজাকার আলবদরদের তালিকা যথাযথভাবে প্রণয়ন তরান্বিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন দূতাবাসগুলিকে তৎপর হওয়ার বিষয়ে আহবান জানান। এই সভায় প্রায় সকলেই তাদের বক্তব্যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে কিছু সার্থান্মেষী ধর্ম ব্যাবসায়ী মোর্চা কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও তার ভাস্কর্য ভাঙার বিরুদ্ধে তীব্র খুব প্রকাশ করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানানো হয় এবং সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের অবিচল আস্থা ও ভালোবাসার কথা অবিস্বরণীয়ভাবে স্মরণ করার কথা উল্লেখ করা হয়। বলা হয় বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
ভার্চুয়াল সভায় অলোচনায় যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জুয়েল মোহাম্মদ জামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি বশির উদ্দিন, ছাদেকুল বদরুজ্জামান পান্না, এ্যড: শাহ মো: বখতিয়ার, শরীফ কামরুল আলম হীরা, এমএ করিম জাহাঙ্গীর, অধ্যাপিকা শাহনাজ মমতাজ, আক্তার হোসেন, জামাল হোসেন, শাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
কনফারেন্সে আরও সংযুক্ত ছিল- ইঞ্জি: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, হিন্দোল কাদির বাপ্পা, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ, মোহাম্মদ ইলিয়ার রহমান, সুবল দেবনাথ, রমেশ নাথ, মেজবা আহমেদ, ফরিদ আলম, জালালউদ্দিন জলিল, কায়কোবাদ খান, আশাফ মাসুক, জাকির হোসেন হিরু ভূইয়া,আশরাফ উদ্দিন, মোল্লা মাসুদ, ইঞ্জি: মিজানুল হাসান, দেলোয়ার মোল্লা, টি মোল্লা, উৎফত মোল্লা, সিবুল মিয়া, নাদের আলী মাষ্টার, রহিমুজ্জামান সুমন, রিন্টু লাল দাস, ফরিদা আরভি, আতাউর রহমান তালুকদার, হেলেমউদ্দিন, ইফজাল চৌধূরী, জামাল বস্ক, আলীমউদ্দিন, শারমিন তালুকদার, রাহিমুল হুদা, রুমানা আখতার, ইঞ্জি: হাসান, মনজুর চৌধূরী, শেখ জামাল হোসেন, মো: মাঈনুদ্দিন, মিজানুর চৌধূরী।
পরিশেষে, ভবিষ্যতের আওয়ামীলীগকে আরও জোরদার ও সুসংগঠিত করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।