হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র আত্তয়ামীলীগ ও আওয়ামী পরিবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু ৪৫তম সাহাদত বাষির্কী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করলো। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও দেশের বাহির বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মালয়শিয়া থেকে অনেকেই ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে মধ্যে ছিল: ১) শহীদের স্বরণ, ২) দোয়া ও প্রার্থনা, ৩) বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ৪) বঙ্গবন্ধুর স্বরণে কবিতা ও সঙ্গীত পরিবেশনা এবং ৫) বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী রাজনীতি ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি।
বিশেষ অতিথী ছিলেন, ১) হাজী দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমিরিট্যাস প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন, ২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য ড. মুহামদ সামাদ, ৩) যুক্তরাষ্ট্র আত্তয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম চৌধূরী, ৪) বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনিসস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম প্রিন্স।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার পরিজন ও সকল শহীদের উদ্দেশে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া দেশে ও বিদেশে যারা করোনা সংক্রামণে আক্রান্ত, তাদের রোগমুক্তি কামনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন- শেখ হাসিনা মনচের সভাপতি জালালউদ্দিন জলিল।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বাকসু’র সাবেক জিএস আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বঙ্গবন্ধুর সাথে বিভিন্ন সময়ে দেখা নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের মডারেটর ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জি: মোহম্মদ আলী সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর কবিতা পাঠ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচায্য কবি ড. মুহমদ সামাদ, যুক্তরাষ্ট্র বসবাসরত প্রখ্যাত আবৃতিকার গোপন সাহা, স্বরচিত কবিতা পাঠ আওয়ামীলীগ নেতা শরীফ কামরুল আলম হিরা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন জলি কর। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতারের প্রখ্যাত শিল্পী শহীদ হাসান। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন- মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রুমানা আকতার।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন- পৃথিবীতে চন্দ্র, সূর্য যেমন সত্য। বাঙ্গালী ও বাংলাদেশে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু তেমনি সত্য, কোন শক্তিই এ সত্য মুছে ফেলতে পারবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দেশি ও বিদেশি শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায় নাই। তারাই ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুক স্বপরিবারে নিষ্ঠুর নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পৃথিবীতে এ ধরণের হত্যা নজীরবিহীন। বঙ্গবন্ধুর এ হত্যার বিচার ২১ বছর আটকে রাখা হয়েছিল। অনেক চড়াই উৎরায়ে ৩৫ বছর পর বঙ্গবন্ধুর এ হত্যার বিচারের রায় পাওয়া যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আজ দেশ পরিচালনা করছে। দেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় প্রবাসী বাঙ্গালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিবৃন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যা, হত্যা পরবর্তী রাজনীতি ও আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অন্যান্যদের মাঝে আলোচনায় যারা অংশ নেন তারা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন , এ্যাড: শাহ মোহম্মদ বকতিয়ার, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহনাজ মমতাজ, জালালউদ্দিন জলিল, ইঞ্জি: মিজানুল হাসান, মঞ্জুর চৌধুরী, মোহম্মদ আকতার হোসেন, মুন্সি উদ্দিন, ছাদেকুল বদরুজামান পান্না, মাহাবুবুল খসরু, শেখ জামাল হোসেন, মোহম্মদ মাঈনদ্দিন, মো: আলমগীর, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, নাদের আলী মাষ্টার, মিজনুর রহমান চৌধুরী, ও শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
কনফারেন্সে আরও সংযুক্ত ছিল- রমেশ নাথ, এমএ করিম জাহাঙ্গীর, মেসবা অহমেদ, ফরিদ আলম, ইলিয়ার রহমান, আশাফ মাসুক, জাকির হোসেন হিরু ভূইয়া, কায়কোবাদ খান, মঞ্জুর চৌধুরী, হেলাল মাহমুদ, সুবল দেবনাথ, আশরাফ উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম সরকার, সিবুল মিয়া, মোল্লা মাসুদ, ইঞ্জি: হাসান, টি মোল্লা, আবুল কাশেম ভুইয়া, উৎফত মোল্লা, রহিমুজ্জামান সুমন, রিন্টু লাল দাস, ফরিদা আরভি, আতাউর রহমান তালুকদার, হেলেম উদ্দিন, ইফজাল চৌধুরী, মাহাবুবুল খসরু, জামাল বস্ক, মো: আলীমউদ্দিন, জাহিদ হাসান, শারমিন তালুকদার, রাহিমুল হুদা সহ আরো অনেকে।