হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের চেতনায় সামনের বছরের জাতীয় নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাটদের বিপুল বিজয় প্রদানে এখন থেকেই কাজ করতে হবে বাংলাদেশিসহ অভিবাসী সমাজকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস-ঐতিহ্য আজ নানাকারণে প্রশ্নবিদ্ধ। অভিবাসীদের রক্ত আর ঘামে গড়ে উঠা এই আমেরিকায় অভিবাসন-বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একইকারণে সামাজিক অস্থিরতার পাশাপাশী যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিকভাবে এক ঘরে করার নিরব একটি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। তাই সামনের বছরের নির্বাচনে আমেরিকার যোগ্য নেতা নির্বাচনের বিকল্প নেই’-এমন অভিমত পোষণ করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়ার কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং।
প্রভাবশালী কংগ্রেসওম্যান ইভেটি ডি ক্লার্ক বলেছেন, ‘আমেরিকার নেতৃত্ব সংকট চরমে উঠেছে। এটি দূর করতে চাই হোয়াইট হাউজে সত্যিকারের জনদরদি একজন নেতা। সামনের বছরের নির্বাচনে সেই নেতার জন্যে সকল অভিবাসীকে সুসংগঠিত হতে হবে।’
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম’, ‘নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাব’ এবং ‘নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম’র সম্মিলিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্স, স্টেট সিনেটর জন ল্যুসহ বিশিষ্টজনেরা। রোববার জ্যামাইকার তাজমহল পার্টি হলে বর্ণাঢ্য এ সমাবেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে বেশ ক’জনজেক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরা হলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি প্রার্থী কাজী নয়ন, উৎসব ডটকমের রায়হান জামান, নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের প্রতিনিধি এটর্নী জেনিফার রাজকুমার, নিউইয়র্ক পুলিশের ক্যাপ্টেন খন্দকার আব্দুল্লাহ, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রাহমি খান, ড. নূরুন্নাহার ইউসুফ প্রমুখ। তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কংগ্রেসউইমেন গ্রেস মেং। গ্রেস মেং আমেরিকার সামগ্রিক উন্নয়ন ও কল্যাণে বাংলাদেশীদের কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেন এবং নতুন প্রজন্মকে মার্কিন রাজনীতির সাথে জড়িয়ে রাখার এ কৌশলকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মোর্শেদ আলম। শুভেচ্ছা জানান ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আহনাফ আলম ও সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আল-আমিন এবং উইমেন্স ফোরামের সভাপতি রুবাইয়া রহমান।
অনুষ্ঠানে অতিথির মধ্যে আরো ছিলেন কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটজ, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লি রয় কমরি, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান মাইকেল ব্লেক, স্টেট অ্যাসেম্বলিউইমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, কাউন্সিলউইমেন উনো ক্লার্ক, কাউন্সিলম্যান পল বেলুন, ডোনাভান রিচার্ডস, বেরি গর্ডনচিক, কুইন্স বরোর ডেপুটি প্রেসিডেন্ট শ্যারন লি, ডেমক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যান্থনি এন্ড্রুু, ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান হাসান, বিশিষ্ট আইনজীবী ও মূলধারার রাজনীতিক মোহাম্মদ এন মজুমদার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কাউন্সিলর আয়েশা হক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, ব্যবসায়ী মো. শাহনেওয়াজ, ফোবানার নির্বাহী সচিব জাকারিয়া চৌধুরী, কমিটিউনিটি লিডার বেদারুল ইসলাম বাবলা, নাসির খান পল, মূলধারার রাজনীতিক তৈয়বুর রহমান হারুন, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মিলন রহমান এবং জয় চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি পাবলিক অ্যাডভোকেট প্রার্থী হেলাল শেখ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠান আয়োজনে সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন উত্তর আমেরিকায় বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্টপোষক ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মো. আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে ছিল নাচ, গান ও ডিজে পার্টি। গ্রুপ পারফরমেন্সে ছিল স্বরলিপির ডালিয়া চৌধুরী, আদিত্য চৌধুরী, বর্ষা দেবনাথ, ভূমিকা দে প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন রোমানা জেসমিন।