হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে বন্দুক হামলার ঘটনা। হতাহত হচ্ছে নিরীহ মানুষ। বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করেছেন জো বাইডেন। তারই এক বছরপূর্তিতে আবারও কঠোর অস্ত্র আইন প্রণয়নের কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
১৬ জুন ২০২৩, শুক্রবার কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে ভাষণ দেন জো বাইডেন। এ সময় তিনি বলেন, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি শিশু নিহত হয়েছিল। তবে কঠোর অস্ত্র আইন বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ পরিসংখ্যানের মুখোমুখি হতে হবে না মার্কিনদের।
বাইডেন বলেন, বন্দুক সহিংসতায় শিশু মারা যাওয়ার সংখ্যা সড়ক দুর্ঘটনা ও ক্যানসারে মৃত্যুর চেয়েও বেশি। আমরা এমন পরিসংখ্যান চাই না। এখনই এআর-১৫ রাইফেল নিষিদ্ধের উপযুক্ত সময়।
তবে শুধু মুখে কঠোর অস্ত্র আইনের কথা নয় বরং এর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অস্ত্রের সহজলভ্যতা বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসকে চাপে রাখবেন বলেও কথা দেন তিনি। পাশাপাশি বন্দুক সহিংসতা হলে অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসল্ট রাইফেল বা ভারী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করব। আমরা অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরও জবাবদিহির আওতায় আনব।
নিজ বক্তব্যে বাইডেন বলেন, অস্ত্র আইন প্রণয়ন কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান সবার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও এই আইন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। যেসব মার্কিন রাজনীতিবিদ বন্দুক আইনের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বন্দুক বহনের অধিকার দেয়ায় মার্কিন রাজনীতিবিদদের মধ্যে অস্ত্র আইনের কঠোরতা আরোপ নিয়ে অনেক আগে থেকেই দ্বিমত আছে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বাইডেনের পক্ষে সেখান থেকে অস্ত্র ব্যবহারের কোনো নিষেধাজ্ঞা পাস করে তা সিনেটে পৌঁছানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।