জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, লন্ডন, যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি: যুক্তরাজ্যে গাড়ির নাম্বার প্লেটের রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে জটিলতা আইনি লড়াইয়ে জয়ী হলেন এনটিভির ইউরোপ ব্যুরো চিফ ফারছু আহমেদ চৌধুরী ।
জীবন যুদ্ধে ঘাত প্রতিঘাতে পাথরমন আজ প্রবাসীদের জীবনেও। কেননা এখানে স্বদেশের মত গুষ্ঠী ভিত্তিক দলাদলি নাই বললেই চলে। তাই প্রতিটা প্রবাসীদের সমস্যা তার নিজের গতিতেই এগুতে হয়। এমনি এক সমস্যা যা আইনি লড়াই করে জয়ী হন প্রবাসে গর্বিত ইউকের বার্মিহামে অবস্থানরত বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির ইউরোপ ব্যুরো চীফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নবীগঞ্জের নির্ভীক সাংবাদিক ফারছু আহমেদ চৌধুরী।
তার গাড়ীতে ব্যবহার করা নাম্বার প্লেটের রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় অবশেষে আইনি লড়াইয়ে গত ১৩ আগস্ট বার্মিংহামের একটি আদালত তার F4RSU রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার প্লেটটি সিকে ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড অথবা তার নমিনী ফারছু আহমেদ চৌধুরীর নামে নিবন্ধনের জন্য আদেশ দেন।
মামলার বিবাদী রাশিদ উদ্দিন (মোহাম্মদ আলী) তার সমর্থনে কোনো প্রমাণাদি উপস্থাপন না করতে পারায় আদালত উল্লেখিত রায় প্রদান করেন। সেই সাথে আদালত বিবাদী রাশিদ উদ্দিন (মোহাম্মদ আলী) কে মোটা অংকের পাউন্ড জরিমানা করেন।
উল্লেখ্য ফারছু আহমেদ চৌধুরী তার গাড়িতে F4RSU এই রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার প্লেটটি কিছুদিন যাবত ব্যবহার করে আসছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন একটি মহল যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা ডিবিএল কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করায় ফারছু আহমেদ চৌধুরীর গাড়ীতে ব্যবহার করা নাম্বার প্লেটটি তার নামে বরাদ্দ বাতিল করে ডিবিএল।
তিনি জানান এই নাম্বার প্লেইটটি সম্পূর্ণ বৈধভাবে ডিবিএল থেকে তার নামে বরাদ্দ নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যবহার করে আসছিলেন। এই নাম্বার প্লেটটি তিনি জনৈক রাশিদ উদ্দিন (মোহাম্মদ আলী) এর কাছ থেকে ৫৯৯ পাউন্ড দিয়ে খরিদ করেন। রাশিদ উদ্দিন টাকা পেয়ে নাম্বার প্লেট হস্তান্তর সংক্রান্ত কাগজে স্বাক্ষর দেওয়ার পর ফারছু আহমেদ চৌধুরী তা ডিবিএলে পাঠিয়ে নাম্বার প্লেটটি ব্যবহারের বৈধ কাগজ হাতে পেয়ে তা ব্যবহার শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেন পরবর্তিতে মোহাম্মদ আলী ডিবিএলকে বিভ্রান্ত করতে থাকে যে সে এটা আমার কাছে বিক্রি করেনি। এর কয়েক দিনের মধ্যে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী নম্বর প্লেইটটি বিক্রি করা হবে মর্মে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এ সময় ফারছু আহমেদ চৌধুরী বার্মিংহাম শহরে বসবাসকারী ব্রিটেনের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সামসুদ্দিন কে অবহিত করে এ ব্যাপারে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে তাকে আইনজীবী নিয়োগ করেন। ওই আইনজীবী সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রেজিষ্ট্রেশন মার্ক F4RSU পাওয়ার বৈধতা আছে বলে তাকে জানান।
দীর্ঘদিন সামসুদ্দিন ডিভিএলের সাথে চিঠি আদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে বার্মিংহামের একটি আদালতে ফারছু আহমেদ চৌধুরীর পক্ষে সিকে ইন্টারন্যাশনাল লিংক লিমিটেড নাম্বার প্লেটটি বরাদ্দের জন্য আবেদন জানায়।
মামলার রায় প্রকাশের পর সাংবাদিক ফারছু আহমেদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। আইনি লড়াইয়ে আমার জয়ী হওয়ার মাধ্যমে তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।