আনোয়ার রানা:
চন্দ্রচুড়ের শীতল চোখে চোখ রেখে এগুতে পারি,
পড়ন্ত বিকেলে আকাশের সমস্ত নীলকে গ্রাস করে
বেদনার্ত রক্তিমতাকেও এক তুড়িতে ছুড়ে ফেলতে পারি –
যদি…
মেঘ ছুঁয়েছে যে নীলগিরির চাঁদোয়া;
শরতের কাশফুলে যেখানে শুভ্রতার মিছিল –
একবারও পেছন না ফিরে
সেই সফেদ সুন্দরকে দুপায়ে পিষে
ঢুকে যেতে পারি অন্ধকার গুহাটায় –
যদি…
নির্জন রাতে সাইট্রাসগন্ধী ইউক্যালিপটাস অরণ্যের
খসখসে পাতার বিছানায় শুয়ে গুনতে পারি
অমাবস্যা রাতে কোটি তারা
অথবা
সর্পিল সড়কে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে ছুটে আসা
দানব ট্রাকতাকেও থামিয়ে দিতে পারি চোখের ইশারায় –
যদি…
পদ্মার উন্মত্ত স্রোতে বিপন্ন কোসাটাকে
এক চিমটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারি
ড্রয়িংরুমের কাঁচঘেরা শোকেসে –
যদি…
কর্ণফুলীর স্বচ্ছ জলের সবটুকু নুন
চুষে নিয়ে নীলকন্ঠ হতে পারি –
পারি কাগজের খেলনা নৌকা নিয়ে
নিরুদ্দেশ হতে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের আড়ালে –
যদি…
আবার তুমি…
…. এক নয়নে ডাকো।